বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন বাংলার মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এই পদ্মা সেতু নিয়ে কতই না চলেছে জল্পনা-কল্পনা। সকল জল্পনা-কল্পনা ও সমালোচনাকে জয় করে প্রধানমন্ত্রীর আসীম সাহসিকতার জোরে পদ্মা নদীর ওপর পদ্মা সেতু আজ সম্পূর্ণ দৃশ্যমান। সম্প্রতি জানা গেছে পদ্মা সেতু যে শ্রমিকরা নির্মাণ করেছেন তারা পড়বেন ধূসর রঙের স্যুট, নীল রঙের শার্ট ও লাল টাই এবং তাদের সাথে ছবি তুলবেন প্রধামন্ত্রী।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আর মাত্র দুই দিন বাকি। আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্নের এই সেতুর উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের পরদিনই সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এটি চালু হলে দক্ষিণের ২১টি জেলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ খুবই সহজ হবে। সময় ২ থেকে ৪ ঘন্টা হ্রাস করা হবে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এদিন ধূসর রঙের স্যুট, নীল রঙের শার্ট ও লাল টাই দেওয়া হয়েছে। উদ্বোধনী দিনে এই পোশাক পরেই ছবি তুলবেন তারা। প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত মন্ত্রী, কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীদের সঙ্গে সেতুতে ছবি তুলবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ছবি পদ্মা সেতু জাদুঘরে রাখা হবে।
পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুবাইয়ের বুর্জ আল খলিফার মতো আলোকিত করা হবে পদ্মা সেতু। বিশেষ করে দিনের বেলায় আলোক সজ্জায় মুগ্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে। পরিকাঠামোর মাধ্যমে রঙ উজ্জ্বল হবে। আর্কিটেকচারাল লাইটিং নামে পরিচিত এই আলো স্থাপনের যাবতীয় ব্যবস্থা রেখে পদ্মা সেতুর অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। পুরো সেতুর অবকাঠামোর কাজ শেষ হলেই লাইট বসানো হবে।
রাজধানীর হাতিরঝিলসহ বিভিন্ন সড়ক ও স্থাপনাও সাজানো হচ্ছে সেতু উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে। হাতিরঝিলে রয়েছে লেজার রাইটিং শো ও আতশবাজি প্রদর্শন। এছাড়াও থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌস গণমাধ্যমকে বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন দিবস উদযাপন করবে সারাদেশ। এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তারপুর সেতু ও প্রধান কার্যালয় আলোকসজ্জার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হবে। ওইদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওয়ায় উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন এবং শুভ সমাবেশে যোগ দেবেন। তারপর টোল দিয়ে সেতু পার হবেন। জাজিরায় আবারও ফলক উন্মোচন করবেন তিনি। এরপর বিকেলে মাদারীপুরের শিবচরে জনসভায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রসঙ্গত, পুরো বাংলা এখন শুধু অধীর উৎসাহে অপেক্ষা করছে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের জন্য। আর মাত্র দুই দিন বাকি। তারপরেই উদ্বোধন করা হবে বাংলাদেশের সরকারের সর্বকালের স্বরণীয় স্থাপনা পদ্মা সেতু। শ্রমিকরা সীমাহীন কষ্ট করে গড়ে তুলেছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু।