Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / দেশের নাগরিকেরা যেভাবে পাবেন সার্বজনীন পেনশন সুবিধা

দেশের নাগরিকেরা যেভাবে পাবেন সার্বজনীন পেনশন সুবিধা

সাধারণত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পেনশনের আওতাভুক্ত হয়ে থাকেন, তবে এবার বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এই স্কীমে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী যে কেউ পেনশনের আওতাভুক্ত হতে পারেন। তবে সরকারের এ ধরনের পরিকল্পনায় সবাই অন্তর্ভূক্ত হতে পারবে না, কারন এখানে আর্থিক সক্ষমতা একটি বিষয়। একটি শ্রেণীর মানুষ এই স্ক্রিমে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আইন মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই শেষে সোমবার (২০ জুন) মন্ত্রিসভা ‘ইউনিভার্সাল পেনশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট, ২০২২’ খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এই স্কিমটি চূড়ান্তভাবে চালু হওয়ার পর, দেশের ১৮ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে যোগ্য এবং বিবেচিত ব্যক্তিরা ৬০ বছর বয়সে পৌঁছানোর পর সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত সর্বজনীন পেনশনের সুবিধা পাবেন।

সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছেন যে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী ব্যক্তিদের পাশাপাশি, বিশেষ ব্যবস্থার অধীনে বয়স্করাও এই স্কিমে অংশ নিয়ে পেনশনের সুবিধা পেতে পারেন।

তিনি বলেন যে, পেনশন প্রকল্পের আওতায় আসতে হলে একজনকে কমপক্ষে ১০ বছরের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রিমিয়াম দিতে হবে। ৬০ বছর পূর্ণ হলে তার প্রয়ান পর্যন্ত ঐ ব্যক্তি এই সুবিধা পাবেন।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ যাচাই-বাছাই করে আইনটি এখন জাতীয় পরিষদে পাঠানো হবে।

তিনি বলেন, ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল বাংলাদেশি নাগরিক পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আর এতে অংশ নিতে পারবেন প্রবাসী বাংলাদেশিরাও। তারা (প্রবাসী) নিবন্ধিত হতে এবং প্রিমিয়াম দিতে পারবেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বেকারত্ব, ব্যাধি, পঙ্গুত্ব, বার্ধক্য কারণে অভাবগ্রস্ততা এবং দেশের মানুষের গড় আয়ু বাড়ার পেনশন এবং একটি সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে আনতে অর্থ বিভাগ আইনটি প্রবর্তন করেছে। .

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কোনো বয়স্ক ব্যক্তি ৬৫ বছর বয়সের আগে প্রয়াত হলে বাকি সময়ের জন্য নমিনি পেনশন পাবেন। তিনি ৬২ বছর বয়সে কেউ প্রয়াত হলে এবং তার মনোনীত ব্যক্তি ১৩ বছর পেনশন পান এমন একজন ব্যক্তির উদাহরণ তুলে ধরেন।

তিনি আরও বলেন, প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে গিয়ে কোনো ব্যক্তি প্রয়াত হলেও, তার বয়স ৬০ বছর না হলে, সেই ব্যক্তির মনোনীত ব্যক্তি এককালীন সুবিধা সহ জমাকৃত অর্থ পাবেন। উদাহরণস্বরূপ, একজন ব্যক্তির বয়স ২০ বছর এবং তিনি এই পেনশনে অবদান রাখছেন। যদি তিনি ৩০ বছর বয়সে প্রয়াত হন, তবে তার মনোনীত ব্যক্তি জমাকৃত অর্থ এবং এককালীন সুবিধা পাবেন৷

তিনি বলেন, তবে প্রিমিয়ামের পরিমাণ প্রস্তাবিত আইনের অধীনে একটি নিয়ম দ্বারা নির্ধারিত হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তাবিত আইনে একজন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ এবং অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের গভর্নিং বডি থাকবে।

তবে সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে দেশের যারা প্রবীণ এবং বয়স্ক তাদের শেষ জীবনের আর্থিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত একটি যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অনেক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু হয়েছে, যার জন্য তিনি প্রশংসিত। তবে এই প্রকল্পের অধীনে প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে কত মানুষ অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে সেটাই এখন দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

About bisso Jit

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *