বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে ভারতের সাথে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক আগের থেকে মজবুত হয়েছে বলে সরকার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। তবে চিন্তার বিষয় হচ্ছে যে প্রায় আলোচনায় উঠে আসে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয়ে ভারতের পরামর্শ চাওয়া হয়। এতে অনেকেই মন্তব্য করে যে ভারতের পরামর্শ যদি চলতে হয় তাহলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দপ্তর থাকার প্রয়োজন নেই। এবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্পর্কে যা বললেন পিনাকী ভট্টাচার্য।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন দিল্লি ইতিবাচক”
ভারত সরকার কূটনৈতিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমাদের মোকাবেলা করার জন্য আমাদের বুদ্ধি এবং কৌশল শেখাবে। আলগা মোমেনকে এটা স্পষ্ট করার জন্য সাধুবাদ জানানো যেতে পারে যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির নিয়ন্ত্রণ আমাদের আর নেই এবং তা ভারতের কাছে বন্ধক রাখা হয়েছে।
আমাদের এখন ভুলে যেতে হবে যে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী, এস এ এম এস কিবরিয়া এবং খাজা কায়সারের মতো বিশ্বমানের কূটনীতিকরা একসময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কূটনৈতিক বিষয় স্বাধীনভাবে পরিচালনা করতেন। প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিষয়গুলো যদি ভারতের বুদ্ধিদীপ্ত পরামর্শ ও কৌশলে পরিচালিত হতে হয়, তাহলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজন কী বা এ বিষয়ে একজন মন্ত্রী থাকার প্রয়োজন কী? সরাসরি সাউথ ব্লক সেগুনবাগিচা দখলে নিলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়!
আর ইয়ে, একটা রাষ্ট্র রাখার দরকার কী?
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশকে যদি ভারতের বুদ্ধি নিয়ে পররাষ্ট্র নীতি পরিচালনা করতে হয় তাহলে বাংলাদেশের মন্ত্রীর প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি আরও বলেন ভারতের পরামর্শে যদি আমাদের চলতে হয় তাহলে আমাদের রাষ্ট্রের প্রয়োজন কী।