হারুনুর রশীদ বিএনপি সমর্থিত একজন নেতা। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হন এবং সংসদ সদস্য হিসেবে আসীন হন। হারুনুর রশীদ পরাপর বেশ কয়েকবার সংসদ সদস্য হিসেবে করেছেন দায়িত্ব পালন। তিনি অতি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার কাজ করে গিয়েছেন। সম্প্রতি সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
সিলেটের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। সোমবার (২০ জুন) দুপুরে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ প্রস্তাব দেন।
হারুনুর রশীদ বলেন, দেশে এখন ভ/য়াবহ বন্যা চলছে তা আমি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে দেখছি। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সুনামগঞ্জসহ সিলেট বিভাগ আজ পানির নিচে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের এই সময়ে এই বিষয়গুলো সংসদে আলোচনা করা দরকার।
তিনি বলেন, আমি গতকাল আপনার কাছে সময় চেয়েছিলাম, আপনি আমাকে পরে সময় দিতে চেয়েছিলেন। গতকাল মুলতবি নোটিশ দিয়েছি। এ সময় তিনি জাতীয় সংসদে ৬১ নম্বর কার্যপ্রণালীর বিধিমালা পড়ে শোনান। মুলতবি প্রস্তাবের সীমাবদ্ধতা তুলে ধরে হারুনুর রশীদ বলেন, এখানে বলা হচ্ছে বাজেটের সাধারণ আলোচনার জন্য কোনো মুলতবি প্রস্তাব উত্থাপন করা যাবে না। এ সময় স্পিকার বলেন, আপনি নিজেই তো পড়ছেন।
হারুনুর রশীদ কার্যবিধির বিধিমালার ৬৫ নং বিধি তুলে ধরে বলেন, কার্যপ্রণালী বিধি প্রণয়নের সময় সিলেটে এমন বন্যা হয়নি। ১২২ বছরে এটি একটি ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। সেখানে মানুষ যে ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে রয়েছে তা কল্পনা করা যায় না। এ সময় স্পিকার বলেন, আপনি পয়েন্ট অব অর্ডারে বলেছেন। পদ্ধতির নিয়ম নিয়ে কথা বলার সুযোগ নেই। কারণ আপনি নিজেই এটি পড়েছেন। বাজেট অধিবেশনে মুলতুবি হওয়ার সুযোগ নেই।
হারুনুর রশীদ বলেন, আমরা আলোচনা চাই। কয়েকদিন আগে সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমরা মন্ত্রীর বক্তব্য জানতে চেয়েছি। এখনও কোন বিবৃতি. সেখানে কী অবস্থা তা আমরা এখনও জানি না। বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হচ্ছে। জনগণের ভোগান্তির বিষয়গুলো নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না? তিনি বলেন, অতীতে জরুরি গুরুত্বের বিষয়গুলো সাধারণ আলোচনায় আলোচিত হয়েছে। আমরা আলোচনার সুযোগ চাই। বললে সাধারণ আলোচনা ছাড়া আলোচনা হবে না। তারপর আপনি সিদ্ধান্ত নিন আমরা কখন ভাষণ দেব, ওই দিন ছাড়া আর কোনো দিন সংসদে আসব না।
সংসদে আসন দেখিয়ে সংসদ সদস্য বলেন, আজ দেখছেন সব চেয়ার খালি, মন্ত্রীদের সব চেয়ার খালি। বিরোধী দলের কোনো সদস্য নেই। তুমি আজ থাকো না কেন? সংসদের কার্যক্রমে বিরোধী দলের সদস্য ও সরকারের সদস্যদের অংশগ্রহণের সুযোগ না দিলে আমরা কেন আসব? তিনি বলেন, আমি মনে করি ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সংসদে আলোচনা করা উচিত। এ অবস্থায় সরকার কী করছে, কী করা দরকার আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। এই জন্য আমাকে সময় দিন দয়া করে।
প্রসঙ্গত, দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চল বন্যায় সম্পূর্ণভাবে চলে গেছে পানির নিচে। মানুষের দুঃখের সীমা নেই। নিথর দেহ দাফনের করার জন্য কোথাও খুঁজে পাচ্ছেনা এক টুকরো মাটি। অবস্থা পৌছেছে চরমে। তাদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠছে আকাশ বাতাস।