ড. হাসান মাহমুদ হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের মাননীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং এছাড়াও তিনি ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি তার দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত তৎপর ও যত্নশীল। তার সমর্থিত দল আওয়ামী লীগের প্রতি তার রয়েছে আসীম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। সম্প্রতি জানা গেছে তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন পদ্মা সেতু উদ্বোধনে সরকার উৎসব না অনুষ্ঠান করছেন।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনে সরকার কোনো উৎসব নয় অনুষ্ঠান করছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। আজ সোমবার ২০ জুন সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
এদিকে সরকার বন্যা দুর্গতদের সাহায্য না করে পদ্মা সেতু উৎসবে মেতে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। এটা প্রমাণ করে আমাদের দল বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা পাশে দাঁড়ায়নি, এখানে বসে বসে বাগাড়ম্বর করেন, ভাষণ দেন।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু তাদের জন্য যন্ত্রণা। বিএনপি-জামায়াত এবং যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিল তাদের জন্য এটা বেদনার বিষয়। কারণ তারা পদ্মা সেতু চায়নি। সুতরাং এটি একটি জ্বালা, এবং যদি এটি উদ্বোধন করা হয় তবে এটি আরও বড় জ্বালা। রাগের মাথায় এসব কথা বলছেন তিনি। পদ্মা সেতু উদ্বোধনে সরকার উদযাপন করছে না। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিবেশন করছেন।
এ সময় হাছান মাহমুদ বলেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ আজ খুশি। দেশের মানুষ একে শুধু সেতু হিসেবে নেয়নি। এটা আমাদের সামর্থ্যের প্রতীক। সেখানে জনসভা ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। তারা চান না পদ্মা সেতু উদ্বোধন হোক। তাই একে বানচাল করার নানা পরিকল্পনা ছিল, যার অনেকগুলোই ব্যর্থ হয়েছে এবং কিছু তারা করতে পেরেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তরাঞ্চলের বন্যার পানি ইতোমধ্যে মধ্যাঞ্চলে পৌঁছে গেছে। এটা স্বাভাবিকভাবেই দক্ষিণে যাবে। ভগবান না করুক, ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তা মোকাবেলায় পদ্মা সেতু আমাদের জন্য সহায়ক হবে। সেজন্য পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা দরকার। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারবে না। তিনি আবার বললেন, তৈরি হলে প্যাঁচানো হবে। একবারে ঢালাই করে যে বিল্ডিং তৈরি করা হবে তার ছাদ নয়। আস্তে আস্তে তৈরি করতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বন্যার ৮-১০ দিন আগে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলেছিলেন, এবার বন্যা হতে পারে। তিনি আবহাওয়াবিদ নন, তিনি তার সাধারণ জ্ঞান থেকে জানিয়েছেন। বন্যা পরিস্থিতির উদ্ভব হলেই প্রশাসনের সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করেছেন। তিনি আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোরও নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতুর কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। পদ্মার বুক চিরে চলে গেছে সেতু। পদ্মার সেতু আজ পুরোপুরিভাবে দৃশ্যমান। মানুষ এখনো বিশ্বাস করতে পারছেনা যে পদ্মার উপর সেতু নির্মাণ হয়েছে। পদ্মা নদী পৃথিবীর দ্বিতীয়তম স্রোতিপূর্ণ নদী।