সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে লাখ লাখ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে গত ৫ বছর আগেই কারাগারে জেতে হয়েছিল রূপায়ণ গুপ্তকে। কিন্তু এরপরও নিজেকে পরিরতন করেননি তিনি। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরপরই আবারও অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন রূপায়ণ গুপ্ত। তবে এবার তিনি একা নন, তার সাথে সুক্ত হয়েছে স্ত্রী মধুশ্রী চৌধুরীও। এই দম্পতির পরিকল্পনা রীতিমতো টনক নাড়িয়ে দিয়েছে পুলিশকে।
স্ত্রীকে নিয়ে ফের প্রতারণার জাল বুনেছে রূপায়ণ। রূপায়ণ গুপ্ত ২০১৬ সালে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার দায়ে জেল খেটেছেন এক বছর। তাতে কী! জেল থেকে বেরনোর পর এবার সঙ্গী তার স্ত্রী মধুশ্রী চৌধুরী।
যদিও পরে জামিনে ছাড়া পায় রূপায়ণ। এই সফরনামা লেইজর নামে নতুন সংস্থা খুলে ফের প্রতারণার কারবারে জড়িয়েছে রূপায়ণ। সঙ্গী স্ত্রী মধুশ্রী চৌধুরী। অনলাইন সংস্থার খবর জ্বলজ্বল করছে ৭৩, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড, কলকাতা। মাস খানেক আগে এই সংস্থার নামে অনেক পরিবারকে ট্যুর করিয়েছে রূপায়ণ ও মধুশ্রী।
এমন কী, তাদের সংস্থার মাধ্যমে যারা ঘুরতে গিয়েছিলেন, তাদের অনেকেই সন্তুষ্ট হয়েছিলেন। আর সেই বিশ্বাস হাতিয়ার রূপায়ণ ও মধুশ্রী।। আর সেই বিশ্বাসকেই হাতিয়ার করেছে রূপায়ণ ও মধুশ্রী। সুদূর কাতারে বসে এদের প্রতারণার শিকার রাহুল সেন নামে এক প্রবাসী বাঙালি।
তিনি জানান, তার পরিবারের লোকজন কাতার থেকে কলকাতায় এসে হিমাচল ঘুরতে যাবেন বলে চিন্তা করেন। আর এরই ধারাবাহিকতায় রূপায়ণদের সঙ্গে কথা বলেন রাহুল। কাতার থেকে কলকাতা হয়ে হিমাচল ঘুরে ফের কাতার ফেরা, এই পরিকল্পনার কথা জানানো হয় রূপায়ণকে।
রাহুল সেনের দাবি করেন, এই ট্যুর বাবদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচের কথা বলা হয় তাকে। আর এতে সম্মতি জানিয়ে অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা ও পার্সপোর্টের ফটোকপি পাঠিয়ে দেন রূপায়ণকে। এই পর্যন্ত সবই ঠিক। কলকাতায় আসার সময় এগিয়ে আসছে দেখে রূপায়ণকে ফোন করতেই রাহুল সেন বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন।
অভিযোগ, যোগাযোগ করা যায়নি। রূপায়ণ ও তার স্ত্রী মধুশ্রীর ফোন বন্ধ ছিল। এমন কি, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের যে ঠিকানায় সংস্থার অফিস, সেখানে লোক পাঠিয়ে ওই ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ। সুদূর কাতার থেকেই ইমেল মারফত কলকাতার গল্ফগ্রিন থানায় প্রতারণার অভিযোগ করেছেন রাহুল সেন। একই সঙ্গে অভিযোগ জানিয়েছেন লালবাজারেও।
শুধু রাহুল সেনই নয়, প্রতারক এই এই দম্পতির জালে পা দিয়ে রীতিমতো নিঃস্ব হয়েছেন অনেকেই। তবে দেশটির এক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ভুক্তভোগীদের এ অভিযোগের আলোকে ঐ দম্পতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।