মানুষের জৈবিক চাহিদা প্রেম বা বৈবাহিক সম্পর্কের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যদিও এর মাত্রা সব সময়ে একই থাকে না। দীর্ঘদিন এই সম্পর্কের বিরতিতে থাকলে বিচ্ছেদও ঘটার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। এতে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে টানাপোড়েন ঘটে। এই ঘটনা বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।
বিবাহিত হলেও গত দুই বছর ধরে তার স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়নি। শারীরিক সম্পর্ক করতে না চাওয়াটাই এর প্রধান কারণ। এ বিষয়ে স্বামীর সঙ্গে একান্তে কথা বলেও কোনো সুরাহা হয়নি। নিকি, একজন ৪০ বছর বয়সী মহিলা, প্রেমের শারীরিক উদযাপনে অংশ নিতে না পারার দীর্ঘ ইতিহাস ছিল। দুই সন্তানের জননী নিকি তার স্বামীর উদাসীনতায় আরও অবাক হয়েছিলেন। অন্তরঙ্গতা যে কোনো প্রেম বা বৈবাহিক সম্পর্কের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তার লেভেল যে সব সময় একই থাকবে তা নয়। কিন্তু দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে যে কোনো স্ত্রীর জন্য খুবই সমস্যা হয়। নিকিও এর ব্যতিক্রম নয়। নিকি অবশেষে তার জৈবিক জীবন উন্নত করার জন্য একটি অনলাইন ডেটিং সাইটে একটি প্রোফাইল খোলেন। তিনি সেখানে অনেক পুরুষের সাথে কথা বলেন। যদিও সবাই নয়, বেশিরভাগ পুরুষই নিকির শয্যাসঙ্গী হয়েছিলেন। নিকিও তাদের একজনের প্রেমে পড়েছিল। শারীরিকভাবে স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে অনেক আগেই, নিকি বুঝতে পারে, এবার মানসিকভাবেও আলাদা হতে হবে। যদিও তার স্বামীর সাথে তার কোন শারীরিক সম্পর্ক নেই, নিকি পরিবার ছেড়ে যেতে রাজি নয়। নিকি মনে করে এটা তার সন্তানদের প্রতি অবিচার হবে। বরং নতুন সম্পর্ককে পৃথিবী থেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি বেশি উৎসাহী।
উল্লেখ্য, বিবাহিত জীবনে স্বামী-স্ত্রীর জৈবিক সম্পর্ক একটা প্রাকৃতিক নিয়ম এবং দম্পত্য জীবনের একটি গুরুত্বপুর্ন অংশবিশেষ। এই সম্পর্কের টানাপোড়েন ঘটলে দাম্পত্যের স্বাভাবিক জীবনেও টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়। যা বিবাহবন্ধনের বিচ্ছেদেরও কারন হিসেবে ভুমিকা রাখতে পারে। বর্তমান সামাজিক ব্যাবস্থাপনায় দম্পত্য জীবনে কোলাহলের অনেক প্রতিবেদনই দেশের বিভিন্ন জনপ্রিয় গনমাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে এমনটাই দেখা যায়, যার নেপথ্যে থাকে স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক চাহিদা। এমন কি এই কারনেই অনেকেই জড়িয়ে পড়ছেন পরকিয়ার মতো ঘৃন্য সম্পর্কে।