বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব হলেন রুহুল কবীর রিজভী। তিনি গত বেশ কয়েক বছর ধরে অধিষ্ঠিত রয়েছেন এই সম্মানীয় পদে। তিনি এই পদে থেকে দায়িত্বের সহিত করে যাচ্ছেন কাজ। দলের প্রতি তার ভূমিকা রয়েছে অপরিসীম। সম্প্রতি জানা গেছে প্রধানমন্ত্রী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে। প্রত্যেকের ভাগে কতো করে টাকা পেয়েছে জানালেন রিজভী।
রোববার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ অভিযোগ করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দেশের বন্যা দুর্গত মানুষের জন্য জনপ্রতি দেড় টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের নামে শত শত কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। তবে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বন্যাকবলিত এলাকায় সরকারি সহায়তা একেবারেই অপ্রতুল।
পদ্মাসেতু উদ্বোধনের জনসভাস্থলে অস্থায়ী ৫০০ টয়লেট স্থাপন করতে যে খরচ হবে তার ১০ ভাগের একভাগও বরাদ্দ পায়নি বন্যার্তরা। বন্যার্তদের জন্য সরকার ৩০ লাখ টাকা, ১০০ টন চাল, আর পাঁচ হাজার টাকার শুকনো খাবার দিয়েছে। এই পর্যন্ত তারা বরাদ্দের আশ্বাস দিয়েছেন ৬০ লাখ টাকা। তার মানে জনপ্রতি দেড় টাকা। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী উৎসব বন্ধের দাবি জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘আমরা দাবি করছি, পদ্মাসেতুর নিয়ে উৎসব বন্ধ করুন, এই লোক দেখানো ফুটানি বন্ধ করুন।
তিনি বন্যা কবলিত এলাকাগুলোকে দুর্যোগ এলাকা ঘোষণা করে পর্যাপ্ত ত্রাণের দাবি জানান। বন্যা কবলিত এলাকায় বিএনপির কার্যক্রম প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজ নিজ জেলার নেতাদের বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। বন্যা কবলিত এলাকার নেতারা বিএনপিকে সহায়তা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাইফুল আলম নীরব প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বন্যার কারণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্ল একেবারে চলে গেছে পানির নিচে। মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই। যে যেভাবে পারছে করছে বেচে থাকার তীব্র চেষ্টা। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে সব। বানবাসীদের এমন দৃশ্য খুবই দুঃখজনক।