দেশ জুড়ে চলছে বন্যার তান্ডব। আর সেই তান্ডবে দিশেহারা হয়ে পরেছে মানুষজন। বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে দেশের কয়েকটি নদীর পানি। এতে করে প্রাণ হারিয়েছে অনেক মানুষ। সব জায়গায় শুধু পানি আর পানি। নিথর দেহ যে মাটি দিয়ে এমন কোনো জায়গা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। সম্প্রতি জানা গেছে আসন্ন দিনগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হবার সম্ভাবনা নেই।
দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। রোববার (১৯ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা গেছে। চলতি সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃষ্টির তীব্রতা কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে ৩০৪ মিলিমিটার। এই সপ্তাহের পুরোটাজুড়েই সিলেটে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সপ্তাহজুড়েই সিলেটসহ দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে বৃষ্টি হবে। টানা বৃষ্টি কোথাও হবে না। থেমে থেমে হবে। তবে আগের তুলনায় বৃষ্টির তীব্রতা কিছুটা কমে আসতে পারে। এছাড়া ঢাকা বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ নিকলিতে ৫২, ময়মনসিংহে ৩৮।
কক্সবাজারে ৮৪ মিলিমিটার, সীতাকুণ্ডে ৬৫ মিলিমিটার, রাঙ্গামাটিতে ৬৭ মিলিমিটার, কুতুবদিয়ায় ৫৯ মিলিমিটার এবং টেকনাফে ৫১ মিলিমিটারসহ চট্টগ্রাম বিভাগের প্রায় সব এলাকায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে রাজশাহী বিভাগের ঈশ্বরদীতে ৪ মিলিমিটার, রংপুর বিভাগের তেতুলিয়ায় ৯৪ মিলিমিটার, খুলনা বিভাগের মংলায় ২৩ মিলিমিটার এবং ভোলায় ১৪ মিলিমিটার।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। আরও বলা হয়, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এছাড়া ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ মেঘলা থেকে মেঘলা থাকতে পারে। অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও, দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে, যা অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময় দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
প্রসঙ্গত, বিশেষ করে দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সিংহভাগ এলাকা চলে গেছে পানির তলে। মানুষ জনের দুঃখের সীমা নেই। বন্যার কারণে মা হারিয়ে সন্তান, সন্তান হারিয়েছে মা কে। এছাড়াও ঘর-বাড়ি এবং গবাদি পশু-পাখি ভেসে গেছে বন্যার পানিতে। সব কিছু হারিয়ে মানুষ নিঃস্ব হয়ে পরেছে।