দীর্ঘ এক বছরেরও অধিক সময় ধরে সুজন হাওলাদার নামে এক যুককের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন এক কলেজছাত্রী। তবে এরপর এক পর্যায়ে এ সম্পর্কের কথা জানতে পেয়ে তাদের বিয়ের তারিখ ঠিক করে দুই পরিবার। তবে হঠাৎ করেই ঘটে গেল এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা। পরিবার গরিব হওয়ার অজুহাতে বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় /বি/ষ/ পা/ন করেন ঐ কলেজছাত্রী। এর পাঁচ দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা/য় তার মৃত্যু/ হয়।
শনিবার (১৮ জুন) সকালে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়। সে আমতলীর হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের বাচ্চু মোল্লার একমাত্র মেয়ে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আমতলীর আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের মেখলেছুর হাওলাদারের ছেলে সুজন হাওলাদারের সঙ্গে কলেজছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এরপর দুই পরিবারের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হলে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের তারিখ ঠিক করা হয়। গত ১০ জুন তাদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তবে মেয়েটির পরিবার দরিদ্র হওয়ায় হঠাৎ করেই বিয়েতে আপত্তি জানান সুজনের খালা। এ কারণে বিয়ে বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর অভিমান ও অপমানে গত ১৩ জুন সকালে /বি/ষ/ পান ক/রেন ওই কলেজছাত্রী। পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে আজ সকালে তিনি মারা যান।
তামান্নার বাবা বাচ্চু মোল্লা বলেন, আমার মেয়েকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সব শেষ করে দিয়েছে সুজন। এই শুক্রবারের আগের শুক্রবার আমার মেয়ের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সুজনের খালা মাহফুজা আমাদেরকে গরীব বলে এবং মেয়ের মা বিদেশে থাকে, এই অজুহাতে বিয়ে ভেঙে দেয়।
তবে সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে আমতলী থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, এখনো এ ব্যাপারে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি কেউ। এ সময়ে তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।