সিলেটে বন্যায় সম্পূর্ণভাবে নাজেহাল হয়ে গেছে সাধারণ মানুষের জীবন। পানি বন্ধী হয়ে পরেছে লাখ লাখ সিলেট বাসী। মানুষ এখন দিশেহারা হয়ে ছাড়ছে সিলেট। বিদ্যুত সংযোগও করে দেওয়া হয়েছে বন্ধ। মানুষের ঘড়-বাড়ি সব তলিয়ে গিয়েছে বন্যার পানিতে। সম্প্রতি জানা গেছে সিলেট শহর ছাড়তে মানুষ রেল স্টেশনে জমায়েত হচ্ছে। সিলেটের যে অবস্থা তাতে করে সেখানে থাকার মতো কোনো পরিস্থিতি নেই।
সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। উজানের ঢালে এই সেকশনের ৮০ শতাংশ এলাকা এখন পানির নিচে। এরই মধ্যে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছতে রেলস্টেশনে ভিড় করছেন মানুষ।
শুক্রবার (১৭ জুন) রাতে সিলেট রেলস্টেশন ও কদমতলী বাস স্টেশনেও এমন চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, বাস কাউন্টার ও রেলস্টেশনে লোকজন নেমে পড়েছে। সিলেট ছেড়ে যেখানে পারো। এ ছাড়া শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বন্ধ করে সিলেট ত্যাগে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন পাঁচ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী।
সিলেটের আবহাওয়া খারাপ থাকায় এলাকার মানুষ নিরাপদ স্থানে যেতে বাস কাউন্টার ও রেলস্টেশনে ভিড় করছেন। কথা হয় ঢাকার উদ্দেশ্যে রেলস্টেশনে আসা রফিকুল হক নামের এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি বলেন, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। আমি এই জন্য বাড়িতে যাচ্ছি. বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সিলেটে ফিরব।
নরসিংদীগামী আবুল কাসেম বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে সিলেটে কাপড়ের ব্যবসা করছি। এলাকা ছেড়ে সপরিবারে সিলেটে থাকতাম। তবে বন্যা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হওয়ায় দোকানপাট বন্ধ রাখতে হচ্ছে। স্বাভাবিক যোগাযোগ ব্যবস্থাও ব্যাহত হচ্ছে, তাই একটু স্বস্তির জন্য বাড়ি যাচ্ছি।
এদিকে সিলেটে গত রাত থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে এবং বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যেতে কাজ করছে সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অধিকাংশ জায়গা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় তারা শহরাঞ্চলে বিভিন্ন উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বন্যার পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে বয়ে যা্ছে। কোথাও চুল পরিমাণ জায়গা খালি নেই। সব জায়গায় থঁই থণনই করছে পানি আর পানি। এর মধ্যে মানুষ পারছে কোনোভাবেই থাকতে। তাই আর কোনো উপায় না পেয়ে নিজ জেলা ছেড়ে মানুষ এখন পাড়ি জমাচ্ছে অন্যত্র।