সরকারি বিভিন্ন কার্যালয়ে গেলে দেখা যায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মহীন সময় পার করছেন। অবশ্য সরকারের কিছু কিছু খাতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনেকটা আয়েশেই তাদের দায়িত্ব পালন করেন। অফিসে এসে সময় কাটান গল্প-গুজব করে এবং চা খেয়ে কিংবা এর ওর রুমে আড্ডা দিয়ে। এমনটা দেখা যায় কৃষি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কার্যালয়গুলোতে। এবার এই সকল আয়েশী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষি অফিসে গেলে ডিজি ছাড়া আর কাউকে দেখতে পাওয়া যায় না। পিডি (প্রজেক্ট ম্যানেজার) ছাড়া প্রকল্পে কী হচ্ছে তা ডিপিডি (অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট ম্যানেজার) জানেন না। তরুণদের কাজ আরও বেশি করতে হবে যেটা সব সময় আশা করা হয়। তাদের আরও বেশি ব্যবহার করা দরকার। কে কি কাজ করে? ‘
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে (কেআইবি) জাতীয় ফল মেলা উপলক্ষে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, একজন আরেকজনের রুমে বসে শুধু চা খায়। অনেক দিন ধরেই বলছি, আবারও বলছি- বারি (বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট), ব্রি (বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট), বিএডিসি (বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন)-তে রুমে রুমে বসে থাকা এবং চা খাওয়া বন্ধ করুন।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘কেউ কারো রুমে গিয়ে চা খেতে পারবেন না। কেউ কারো রুমে গিয়ে শিঙাড়া খেতে পারবেন না। কোনো বিদেশি বা বড় উদ্যোক্তা এলে তাকে আপ্যায়ন করবেন, আপনি তাকে চা খেতে দেবেন। কিন্তু পাশের রুমের বিজ্ঞানী এলো আপনি তার জন্য চা-শিঙাড়া অর্ডার দেবেন, সেগুলো একদম আইন করে, অর্ডার দিয়ে- আমি সব ডিজিদের বলছি তা বন্ধ করুন।’
অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সাইদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ারসহ বিভিন্ন সংস্থার কৃষি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসংগত, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চা-পার্টি করে অফিসের সময় কাটানো- এটা কোন নতুন বিষয় নয়। তাই সরকারের উচিত এ বিষয়টি নজরে আনা। জনগণের অর্থে তার যে বেতন পায় সেটা যেন হালাল উপায়ে উপার্জন করে সে বিষয়ে কড়া নজরদারি দেওয়া উচিত উচ্চ পর্যায় হতে। জনগণের সেবার জন্য তাদের সক্রিয়ভাবে মাঠ পর্যায়ে কাজ করা উচিত, এমনটি মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।