বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সম্ভব নয় সে আবারো প্রমান হলো বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, এই সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচনে অংগ্রহন করবে না বিএনপি। সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে নিজেদের ক্ষমতা স্থায়ী করেছে। এর পর আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে।
দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাচ্ছে না উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কাল যে নির্বাচনটা (কুমিল্লা সিটি নির্বাচন) হয়ে গেল, তা নিয়ে দ্বিতীয় বার বলতে চাচ্ছি না। আমরা এখন আর কোনো নির্বাচনে যাচ্ছি না। এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া মানে তাদের বৈধতা দেওয়া।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় ফখরুল এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একটি অংশ এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একটি অংশ এই সভার আয়োজন করে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এপিট আর ওপিট। গণতন্ত্র না পেলে আমরা কীভাবে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পাব।’
ফখরুল বলেন, “আওয়ামী লীগের চরিত্রে জনগণের ভিন্ন মতকে সহ্য করার কিছু নেই।তাদের ক্যামিস্ট্রি কাজ করে একদলীয় বাকশাল। তাই রাষ্ট্রের অস্তিত্বের জন্য গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ছাড়া বিকল্প নেই। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বিচার বিভাগ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রূপকল্প ২০৩০ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, সংবাদপত্রের কালো আইন বাতিল করা হবে। এটা পরিষ্কার ঘোষণা দেওয়া আছে। ”
বিএনপির এ নেতা বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। আন্দোলন শুরু করতে হবে। চূড়ান্ত আন্দোলনে আমাদের কোনো কমতি নেই। এই আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। ‘
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, রুহুল আমিন গাজী, এম এ আজিজ, কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু করা সম্ভব নয়। দেশের গনতন্ত্র ও জনগনের অধিকার ফেরাতে আন্দোলনের বিকল্প নেই আর এজন্য বিএনপি প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।