শত বাধা-প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মাসেতু নির্মানের মধ্য দিয়ে উন্নয়নের দিক দিয়ে যেন আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। আগামী ২৫ জুন পদ্মাসেতু উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এদিকে এবার পদ্মাসেতু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস শেয়ার করে রীতিমতো আলোচনায় এলেন ধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি বলেছেন, পদ্মা সেতু মর্যাদার প্রতীক, যার ওপর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে। তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পদ্মা সেতুর একটি ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, পদ্মা সেতু শুধু একটি স্থাপনা নয়; এটি এখন বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশের গর্ব, আত্মমর্যাদা ও অহংকারের প্রতীক। এই সেতু নির্মাণের কৃতিত্ব প্রতিটি বাঙালির, তোমার-আমার-আমাদের।
এই সেতু নির্মাণের ফলে দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নদীমাতৃক জমি সরাসরি রাজধানীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বলে লিখেছেন জয়। পদ্মা সেতু যেমন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের জীবনে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বয়ে আনবে, তেমনি জাতীয় আয়েও অন্তত দেড় শতাংশ বৃদ্ধি নিশ্চিত করবে। ফলে উপকৃত হবে গোটা দেশের মানুষ। ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটনের প্রসার ঘটবে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে এই সেতুর অনেক প্রভাব রয়েছে। তিনি আরও লিখেছেন, বিশ্বের দ্রুততম প্রবাহিত নদী পদ্মা নদীর উপর একটি নান্দনিক সেতু-পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। বহুমাত্রিক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও জটিল প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে তোমার-আমার-আমাদের নিজস্ব অর্থে এই সেতুটি নির্মিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা লিখেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার কোনো উন্নয়নশীল দেশের মানুষ নিজ উদ্যোগে এত সুন্দর ও টেকসই সুযোগ-সুবিধা গড়ে তুলতে পারবে তা বিশ্ব কল্পনাও করতে পারেনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অদম্য আত্মবিশ্বাস ও দূরদৃষ্টি এবং বাঙালি জাতির অদম্য প্রচেষ্টায় তা আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে। এখন সবাই বাংলাদেশকে স্যালুট করছে। ২৫ জুন উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা পদ্মা সেতু এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মর্যাদার প্রতীক হয়ে উঠেছে। সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘আমার টাকায় আমার সেতু, দেশের জন্য পদ্মা সেতু।
এদিকে পদ্মাসেতু নিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়ের এমন স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা সমালোচনায় মেতেছেন নেটিজেনরা। পাশাপাশি নিন্দাও প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।