আজ সকাল থেকে শুরু হয়েছে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আর এই নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীরা অভিযোগ তুলেছেন। নির্বাচনে একটি ভিন্ন চিত্র উঠে এসেছে সাংবাদিকদের ক্যামেরায়। যে বিষয়ে তারা বলছেন নির্বাচনী বুথে ভোটাররা ছিলেন না। সেখানে ছিলেন একসাথে দুজন এবং বাইরে ছিল ভোটারদের দীর্ঘ সারি।
সকাল ৮টা বাজে। সবেমাত্র ভোট শুরু হয়েছে। কুমিল্লা রেয়াজ উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রের বাইরে সারিবদ্ধ মানুষ। নৌকার ব্যাজ সবার গলায়। সাংবাদিককে দেখা মাত্রই ব্যাজধারী কিছু লোক ঢুকে যায় কেন্দ্রের দিকে। তারপর তারা আবার লাইনে দাঁড়ান ভোট দিতে।
রিয়াজ উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কুমিল্লা শহরের ৫নং ওয়ার্ডের কেন্দ্র, যেখানে একসঙ্গে দুটি কেন্দ্র রয়েছে। ওই দুটি কেন্দ্র পুরুষদের জন্য সংরক্ষিত। দুটি কেন্দ্রে মোট ভোটার ৪ হাজার ৩১২ জন। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হলেও ভোটার উপস্থিতি তেমন ছিল না।
একজনকে কেন্দ্রের একটি কক্ষে, দুজনকে গোপন কক্ষে প্রবেশ করতে দেখা যায়। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, গোপন কক্ষে থাকবেন শুধু ভোটাররা। কিন্তু রেয়াজ উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তা মানা হয়নি।
নৌকার ব্যাজধারী আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমরা বয়স্কদের সাহায্য করতে কেন্দ্রে এসেছি।
রেয়াজ উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার হাফিজুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত কেন্দ্রে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সুষ্ঠু ভোটের জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করব।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি।
শাহেদুন্নবী চৌধুরী যিনি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি বলেন, এরকম ঘটনা যদি ঘটে থাকে তাহলে বিষয়টি দ্রুত দেখা হবে। আর যদি সেখানে কোনো দুর্নীতি হয়ে থাকে তবে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এজন্য আমি সকলকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য নির্দেশ দিচ্ছি।