Thursday , December 26 2024
Breaking News
Home / Countrywide / বিষেশ জায়গায় বাতাস প্রবেশ করালো যুবক, চার দিনেও জ্ঞান ফেরেনি তরুনীর

বিষেশ জায়গায় বাতাস প্রবেশ করালো যুবক, চার দিনেও জ্ঞান ফেরেনি তরুনীর

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক নারী শ্রমিককে মলদ্বারে বাতাস ঢুকিয়ে প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। চার দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও এখনো ওই ভুক্তভোগী স্বাভাবিক জীবনে ফেরেনি। গত শনিবার (১১ জুন) উপজেলার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। মহিলাকে ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থার কোন উন্নতি না হলে পরবর্তীতে তাকে উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে একটি বেসরকারী হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

মহিলাকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ডিএমসি) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার গভীর রাতে ডিএম থেকে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পর চার দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই মহিলার এখনও জ্ঞান ফেরেনি। মহিলাকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ডিএমসি) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার গভীর রাতে ডিএম থেকে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কালিয়াকৈরের সফিপুর শাহাবুদ্দিন টেক্সটাইল মিলের ৩৫ বছর বয়সী ওই নারী শ্রমিকের বাড়ি পাবনার চাটমোহর উপজেলার। ওই নারীর ভাই দেশের একটি জনপ্রিয় গনমাধ্যমকে বলেন, আমার বোন দীর্ঘ ছয় বছর ধরে এই কোম্পানির সুতা সেকশনে অপারেটর হিসেবে কাজ করছেন। শনিবার গাজীপুরের একটি হাসপাতাল থেকে ফোন আসে, তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আমি সেখানে গিয়ে দেখি আমার বোন হাসপাতালের বিছানায় কাঁদছে। তার পাশে আর কেউ ছিল না। পরে হাসপাতালের কর্মচারীরা জানান, তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে রেখে পালিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে শনিবার রাতে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আমি মনে করি আমার বোনকে তার পুরুষ সহকর্মীদের দ্বারা শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছিল, তিনি এমনটাই বলেছিলেন। একটি এয়ার কম্প্রেসার দ্বারা এই কাজ করা হয়েছিল। আমার বোন একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। তার জ্ঞান এখনো ফেরেনি। ২০০-ওয়ার্ড ডিএমসিএইচের পোস্ট-অপারেটিভ ওয়ার্ডে কর্তব্যরত একজন চিকিৎসক বলেন, মহিলাটির অবস্থা গুরুতর ছিল। তার একটি অপারেশন করা হয়েছিল, কিন্তু এখনও জ্ঞান ফেরেনি। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে লোকজন এসে তাকে ছাড় পত্র দিয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, গাজীপুরের অসুস্থ ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেল থেকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। তার কী হয়েছে আমরা জানি না। এখানে থাকা অবস্থায় তার জ্ঞান ফেরেনি।

উল্লেখ্য, ভুক্তভোগী নারী এই ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে প্রায় চারদিন হয়ে গেল এখনো তার কোন জ্ঞান ফেরেনি। সে বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এমনটা তার স্বজনদের তথ্য সূত্রে জানা গেছে। কিন্তু কে বা কারা কিসের উদ্দেশ্যে এই ধরনের কাজ সংগঠিত করলো তার এখন প্রর্যন্ত কোন উত্তর মেলেনি। ভুক্তভোগীর ভাইয়ের ধারনা মতে, ভুক্তভোগীকে শ্লীলতহানির চেষ্টাকালে বাধা প্রধান করার ফলস্বরুপ হিসেবে তাকে এই সংকটময় পরিস্থিতির সম্মুক্ষিন হতে হয়েছে। তবে তার জ্ঞান ফিরলে আসল ঘটনার সকল তথ্য উম্মোচন করতে সহজ হবে বলে জানিয়েছেন প্রশাসন।

 

About Syful Islam

Check Also

শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে নয়াদিল্লির জবাব, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পৌষ মাস নাকি সর্বনাশ?

ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মন্তব্য করেছে। নয়াদিল্লি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *