সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচনের জের ধরে বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলাধীন সুখানপুকুর নামক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে বিরোধের জের ধরে দল থেকে পদত্যাগ করলেন ইউনিয়ন আ.লীগের ৯ নেতাকর্মী। তারা উল্লেখিত কারনে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে তারা ইউনিয়ন সভাপতির নিকট তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে এ ঘটনায় তারা কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সে বিষয়ে শোকজ করা হয়েছে।
মুক্তি চাওয়া নেতাকর্মীরা হলেন, সুখানপুকুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার সাহা, দপ্তর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক উদয় সিংহ, উপ প্রচার সম্পাদক পিন্টু মিয়া, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সুমন কর্মকার, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক মিঠু অধিকারী, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মোক্তার আলী, সদস্য সাধন সরকার ও ৫নং ওয়ার্ড কমিটির সদস্য খোকন সরকার।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, আগামী ১৫ জুন বগুড়ার গাবতলী উপজেলার সুখানপুকুর ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চেয়ারম্যান পদে নৌকা পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলমগীর রহমান। এখানে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে বিদ্রোহ করেছেন গাবতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক লতিফুল বারী মিন্টু।
তারা আরও জানান, ৩১ জানুয়ারি সুখানপুকুর ইউনিয়নের নির্বাচনের দিন ধার্য ছিল। আওয়ামী লীগের একাধিক চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। ক্ষমতাসীন দল থেকে জেলা কমিটির সদস্য আলমগীর রহমানকে নৌকা দেওয়া হয়। এতে ক্ষু’ব্ধ হন গাবতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক লতিফুল বারী মিন্টু। তিনি বিদ্রো”হী প্রার্থী হন ও দল থেকে পদত্যাগ করেন। তবে বিএনপি প্রার্থী আশরাফুল হক গোল্লার প্রয়ানে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। পরে নির্বাচন কমিশন ১৫ জুন ঘোষণা দেয়।
আওয়ামী লীগ দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী আলমগীর রহমানের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ না নেওয়ায় গত শুক্রবার সুখানপুকুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অশোক কুমার সাহা, দপ্তর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ও উপ-প্রচার সম্পাদক পিন্টু মিয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নীলাদ্রি শেখরকে শো-তে জবাব দিতে বলা হয়। এর আগে তিন নেতা ও তাদের ছয় অনুসারী সাড়া না দিয়ে দল থেকে পদত্যাগের আবেদন করেন।
সভাপতি নীলাদ্রি শেখর স্বীকার করেছেন যে, নয় নেতাকর্মী তাদের মুক্তির জন্য আবেদন করেন এবং বলেন নির্বাচনের পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
যুগ্ম সম্পাদক অশোক কুমার সাহা বলেন, ব্যক্তিগত কারণে তিনি দলের কাছে পদত্যাগ চেয়েছেন। নৌকার পক্ষে প্রচারণায় অংশ না নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এবার আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না।
পদত্যাগের ঘটনায় রাফি নেওয়াজ খান রবিন যিনি গাবতলী উপজেলা চেয়ারম্যান (আওয়ামী লীগ নেতা) হিসেবে রয়েছেন তিনি বলেন, সুখনপুকুর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এ বিষয়টি শুনেছি তবে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আমি জানিনা। উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতারাই ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে পারবেন।