দীর্ঘ এক বছরেরও অধিক সময় ধরে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বাংলা রুপালী জগতের অন্যতম সেরা তারকা ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। মরণব্যাধী ক্যান্সারের সঙ্গে রীতিমতো পাঞ্জা লড়ে চলেছেন তিনি। তবে এই মুহুর্তে বাংলার অন্যতম গুণী এই অভিনেতা কেমন আছেন, তা নিশ্চিত করে সংবাদ মাধ্যমকে ফারুকের স্ত্রী ফারহানা জানান, ফারুকের শারীরিক অবস্থার ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে স্বাভাবিক খাবার খাচ্ছেন, ভালোই হাঁটছেন এই অভিনেতা। অবসরে বই পড়ছেন। টিভিতে দেশের খবর দেখছেন
কিন্তু কালজয়ী চলচ্চিত্র ‘সারেং বউ’-এর নায়ক ফারুক কবে ফিরবেন দেশে? এ প্রশ্নের জবাবে তার স্ত্রী ফারহানা পাঠান বলেন, “তোমার মিয়া ভাই কবে দেশে ফিরবেন তা এখনো পরিষ্কার নয়। কারণ তিনি আগের চেয়ে সুস্থ থাকলেও তার কিছু শারীরিক জটিলতা রয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত দেশে ফেরার কোনো পরিকল্পনা নেই তার।’
গত বছরের ৬ মার্চ থেকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ছিলেন ফারুক। এক বছর তিন মাস কেটে গেছে। এই দীর্ঘ সময়ে ফারুকের চিকিৎসায় অনেক টাকা খরচ হয়েছে। কয়েকদিন আগে ফারুকের ছেলে রওশন পাঠান শরৎ বলেন, আবুর চিকিৎসার জন্য গত জানুয়ারিতে বারিধারায় দুটি ফ্ল্যাট বিক্রি করতে হয়েছে। আবুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও শূন্য। টাকাও ধার করতে হয়েছে। ‘
এর পরও বাবার চিকিৎসা খারাপ হচ্ছে বলে জানান শরৎ। তিনি বলেন, “যদি আমার বাবা আরও বেশি দিন থাকেন, তাহলে তাকে আরও ধার নিতে হতে পারে। তার সুস্থতার জন্য আমরা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করব।’ শরৎ জানান, তার বাবার চিকিৎসার জন্য সরকারি সহযোগিতা পেলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তবু যেটুকু সহযোগিতা পেয়েছেন তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান নায়কপুত্র।
হাসপাতালে এক মাস ছয় দিন সম্পূর্ণ অচেতন ছিলেন ফারুক। সে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিল না। ফলে এপ্রিলের শুরুতে তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় অভিনেতার ছেলে শরৎ এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “বাবার মৃত্যুর খবর জানতে সাংবাদিক ও স্বজনরা বারবার ফোন করছেন। আমরা খুবই বিরক্ত। অনুগ্রহ করে না জেনে গুজব ছড়াবেন না।’
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে ‘জলছবি’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্যদিয়ে বড় পর্দায় প্রথমবারের মতো পা রেখেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌছে যান আকবর। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে-লাঠিয়াল, আলোর মিছিল, সুজন সখী, সারেং বৌ, ইত্যাআদি।