Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / এমপির কাছে এত অসহায়ত্ব দেখালে সিইসি জাতীয় নির্বাচনে চামড়া বাঁচাতে গর্ত খুঁজে পাবেতো

এমপির কাছে এত অসহায়ত্ব দেখালে সিইসি জাতীয় নির্বাচনে চামড়া বাঁচাতে গর্ত খুঁজে পাবেতো

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, কোনো সংসদ সদস্যকে জোর করে উচ্ছেদ করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই। রোববার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক সিইসি, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবদের সঙ্গে সংলাপ শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। তার এমন মন্তব্য যোগাযোগ মাধ্যম ও গন মাধ্যমে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। বিশেষ করে রাজনৈতিক অনেক নেতারা তার এমন মন্তব্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখায়।

এই ঘটনা সিইসি বলেন, আইনে বলা হয়েছে, ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা’ নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রচারণা চালাতে পারবেন না। কিন্তু আমাদের কাছে মনে হচ্ছে কুমিল্লার মাননীয় সংসদ সদস্য তাই করেছেন। এজন্য আমরা তাকে চিঠি দিয়েছি। আমরা তাকে চলে যেতে বললাম। তবে এখনও জায়গা ছাড়েননি তিনি। এক্ষেত্রে একজন মাননীয় সংসদ সদস্যকে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করার ক্ষমতা আমাদের নেই। আমরা তাকে বলতে পারি আইন বলছে, আপনি এলাকা থেকে সরে যান। তাহলে নির্বাচন ভালো হয়। একজন মাননীয় সংসদ সদস্য যদি এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন না করেন তাহলে আমাদের কিছু করার নেই।

এর আগে বুধবার কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য একিউএম বাহাউদ্দিন বাহারকে নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের চারদিন পরও এলাকা ছাড়েননি এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।

ইসির এমন মন্তব্যে অনেক পাঠক তাদের মন্তব্যে লিখেছেন,

>> তাহলে স্যার আপনি বলছেন, যেখানে একটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন একজন এমপিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি, সেখানে জাতীয় নির্বাচন অসম্ভব ছাড়া আর কিছুই নয়, সময়মতো নিরপরাধ জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে আপনার মর্যাদাকে সম্মান করুন, পদত্যাগ করুন, সরকার যা চায় তাই, নিজেকে বাঁচান। জনগণের অত্যাচার, শেষ পর্যন্ত ভালো থাকুক আমার বাংলাদেশের।

>> আপনি এমপি না হলে ২০ জন এমপির ভোট ছিনতাই হলে কতজন মানুষ আপনাকে মান্য করবে? আপনি গর্জন না করেই পদত্যাগ করতে পারেন। যাই হোক, শাসক শাসকের কাছ থেকে বার্তা পায়। আর একই নাটকে একই চরিত্রে অভিনয় করবেন কজন।

>> তাহলে বুঝুন আপনার দৌড় কতদূর! তাই তো রবিরা বলেন, ‘এতো গর্জে উঠছে বছর না’! এখন একজন এমপির কাছে এত অসহায়ত্ব দেখালে সি,ই,সি জাতীয় নির্বাচনে চামড়া বাঁচাতে গর্ত খুঁজে পাবেতো! শোন, আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনার অধীনে এদেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না। অনুমতি দেওয়া হবে না। সসম্মানে পদত্যাগ করে বাড়ি চলে যান। নাক ডেকে ঘুমিয়ে নির্বাচনের স্বপ্ন দেখে নিজেকে সম্মানিত মনে হতে পারে!

>> নির্বাচন কমিশনারের কথায় ও চেহারায় যে এক ধরনের অসহায়ত্ব কাজ করছে তা খুবই স্পষ্ট। আর এই সংসদ সদস্যও ভালো করেই জানেন যে, তিনি যদি তার লাইনের বা তার ধামাধার কাউকে নির্বাচনে মেয়র না বানাতে পারেন, তাহলে তিনি তার পেছনে যাবেন, সে আমার পেছনে যাবে। পরে পুলিশ ছাড়া শহরে প্রবেশ করতে পারবেন না। আর সে তার নিজের মেয়েকে নিজের জায়গায় বসাতে পারে না। ধারণাটি হল যে আপনি একবার এমপি হয়ে গেলে, আপনার উত্তরাধিকারীরা শুধুমাত্র এই পদের জন্য এমপি হওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। দলের অন্য সব কর্মীদের কি এই দলের এমপি হওয়ার ইচ্ছা বা অধিকার নেই? এটাকেই নাকি গণতন্ত্রের নমুনা বলতে চায় আওয়ামী লীগ। যাই হোক, আগের কথায় ফিরে আসি। জনাব নির্বাচন কমিশনার, মনে রাখবেন সামনের দিনগুলোতে এমন বিকৃত মানসিকতার লোকেরা আপনাকে পরাজিত করতে চাইবে। তারা সংসদে বসে নিজেদের প্রমাণ করতে চাইবে। আর বাইরে তারা গণতন্ত্র ধ্বংসের খেলায় মেতে থাকবে। তাই প্রথমে সিদ্ধান্ত নিন এই ফ্রাঙ্কেনস্টাইনগুলিকে থামাতে কী করবেন।

>> তার মানে সরকারের বিরুদ্ধে কিছু করার বা বলার ক্ষমতা আপনার নেই। তোমার বড় কথার স্ফুলিঙ্গ একটা অক্ষরে সীমাবদ্ধ। আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য সম্ভাবনা নির্বাচন করা। ইতিহাসের পাতায় অযোগ্য লাইনে আপনার নামও থাকবে।

About Nasimul Islam

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *