মেহেরপুরে জেলা প্রশাসকের অপসারণ, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে কাফন পরে মৌন মিছিল করেছে ব্যবসায়ীরা। আদালত মসজিদ মার্কেট উচ্ছেদের প্রতিবাদে রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর মানিক টাওয়ারের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। মিছিলটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। হোটেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মেহেরপুর শহরের কোর্ট মসজিদ মার্কেট উচ্ছেদের ঘটনায় কাফনের কাপড় পরে মিছিল সমাবেশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। রোববার (১২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাফনের কাপড় পরিহিত অবস্থায় মিছিল শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন তারা। হোটেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ গোলাম রসুল, হোটেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ইকবাল শিমন, কলেজ মোড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এমএ কুদ্দুস প্রমুখ। ব্যবসায়ীদের দাবি- গত ৭ জুন মেহেরপুর কোর্ট মসজিদ মার্কেটের ২৫টি দোকান উচ্ছেদ করে জেলা প্রশাসন। সেই থেকে বিভিন্নভাবে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০০৬ সালে মসজিদের উন্নয়ন প্রকল্পে মসজিদ কমিটিকে ২৫টি দোকান বাবদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। যার রশিদসহ সমস্ত প্রমাণ আছে। তাই কোনোভাবেই এগুলো অবৈধ দোকান হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যার ঘর নাই তাকে ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়। কিন্তু মেহেরপুরের ব্যবসায়ীরা ঘরছাড়া হলেন। তারা আরও বলেন, ব্যবসায়ীদের আনুমানিক ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এত ক্ষতি করায় অবিলম্বে আমরা জেলা প্রশাসক ও এসি ল্যান্ডের অপসারণ চাচ্ছি। আমাদের এই আন্দোলন চলমান থাকবে। আমাদের পাঁচ দিনের যে কর্মসূচি ছিল। তাতে যদি কোনো ব্যবস্থা গৃহীত না হয়, তাহলে আজ রাতে জেলার সকল ব্যবসায়ী সমিতি আলোচনা করে মেহেরপুরের জেলা প্রশাসকের অপসারণের এক দফা আন্দোলনে যাব। এ বিষেয় জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খাল বলেন, আমি সরকারি নিয়ম ও আইন বাস্তবায়ন করেছি। উচ্ছেদ অভিযান নিয়ম মেনেই পরিচালিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ব্যবসায়ীদের করা অভিযোগের বিষয়ে জেলা প্রশাসক মুনসুর আলম খানকে ফোন করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। তবে গত ৯ জুন নিজের ফেস// বুক প্রোফাইলে একটি পোস্ট দেন তিনি। তাতে তিনি বলেন, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে খাস জমি উচ্ছেদ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে মসজিদের আশপাশে বা জেলা পরিষদের আশপাশে দোকান বসানোর জন্য জেলা পরিষদের প্রশাসক ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে।