নায়ক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে ওমর সানিকে পিস্তল দিয়ে গু// লি করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে খল অভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিয়েতে এ ঘটনা সুত্রপাত ঘটে। জায়েদ খানের এমন আচরণে বিস্মিত ও হতবাক হয়েছিলেন ওই সময় বিয়ের অনুষ্ঠানে থাকা চলচ্চিত্রের কয়েকজন সিনিয়র অভিনেতারা। তবে জায়েদ খান ঘটনাটিকে পুরোপুরি মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন দাবি করেছেন। নায়কের মন্তব্য, তাকে নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
গান বাজছে, পার্টি চলছে, তারকাদের পার্টি। আছেন নায়ক-নায়িকা, গায়ক, খলনায়কসহ সিনেমার সঙ্গে জড়িত সবাই। বিয়ের আয়োজন করতে আসছেন অতিথিরা। হঠাৎ এক অতিথি এসে অন্য অতিথির গালে চড় মেরে দিল। সে এত জোরে লাফ দিল, পড়ে গেল। পাঠক হয়তো ভাবতে পারেন, সিনেমায় কি কোনো দৃশ্য আছে? একেবারে না। যে ঘটনাগুলো আসলে ঘটেছিল। রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে অভিনেতা ও প্রযোজক ডিপজলের ছেলের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানেই ঘটনাটি ঘটে।
চলচ্চিত্র শিল্পীদের সামনে এমন কাজ করলেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানি। অনুষ্ঠানে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে জায়েদ খানের গালে চড় মারেন তিনি। জায়েদ খানও কোমর থেকে পিস্তল বের করে ওমর সানিকে গুলি করতে যান। পরে সেখানে থাকা অন্যরা কোনোভাবে দুজনকে থামায়। তবে থাপ্পড়ের বিষয়টি দেশের একটি জনপ্রিয় গনমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন ওমর সানি। তবে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন ডিপজল। তিনি গনমাধ্যমকে বলেন, আমি গত কয়েকদিন ধরে আমার ছেলের বিয়ে নিয়ে খুব ব্যস্ত ছিলাম। বিয়েতে আমার সহকর্মীসহ অনেক অতিথি ছিলেন। আমি একটি পত্রিকায় দেখেছি যে একজন প্রত্যক্ষদর্শী আমাকে উদ্ধৃত করেছেন। আমি সত্যিই জানি না। আমি শত শত অতিথিকে স্বাগত জানাতে এবং তাদের সাথে কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত রয়েছি। কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে এমন ঘটনা ঘটতে পারে এমন কোনো ভদ্রলোক বিশ্বাস করবেন না।
আমি, অন্যান্য অনেক বিশিষ্ট অতিথিসহ, ওমর সানি এবং জায়েদকে অনুষ্ঠানে স্বাগত জানাই। ধরে নিলাম তাদের মনোমালিন্য আছে, তারা কি বিয়েতে আসবে? এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? তারা শিল্পী, তারা জানে কোথায় আচরণ করতে হবে। ফলে পুরো বিষয়টি ভিত্তিহীন ও অসত্য। এখন যদি কেউ কোনো উদ্দেশ্যে গুজব ছড়ানোর মতো এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, আমি বলব তারা ভালো করেনি। এত ছোট বিষয়ে কথা বলা অশোভন। আমি মনে করি যারা এটা ছড়াচ্ছে তারা ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য এটা করছে। কারণ, আমরা সেলিব্রেটি। আমাদের সামাজিক মর্যাদা এবং দর্শকদের কাছ থেকে গ্রহণযোগ্যতা আছে। আমাদের মধ্যে যেকোনো ধরনের অশালীন আচরণ চলচ্চিত্রের সুনামকে কলঙ্কিত করে। ফলে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সতর্ক থাকতে হয়। আমরা সমাজের বাইরে নই। আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনও আছে। এমন কোনো আচরণ নেই যা আমাদের দর্শকদের মনে খারাপ ধারণা তৈরি করে।
যেখানে আমার ছেলের বিয়ে হয়েছে সেটি খুবই নিরাপদ ও নিরাপদ। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রবেশপথে একটি মেটাল ডিটেক্টর ছিল। সবাইকে এই নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে পিস্তল বা অন্য কোনো অস্ত্র নিয়ে প্রবেশের সুযোগ নেই। তাই জায়েদ বা অন্য কাউকে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। জায়েদ ও ওমর সানির তথাকথিত গল্প যারা ছড়িয়েছে তারা ভালো করেনি। এটা খুবই দুঃখজনক, আমি মনে করি এর পিছনে তাদের কিছু উদ্দেশ্য আছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার জায়েদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে ডিপজল ভাইয়ের ছেলের বিয়ে হয়েছে। কোনো ধরনের অস্ত্র নিয়ে উল্লেখিত স্থানে ঢোকা সম্পুর্ন ভাবে নিষেধ। সেখানে পিস্তল নিয়ে ঢোকার কোনো সুযোগই নেই। তাহলে পিস্তল আসবে কোথা থেকে? শিল্পী সমিতির এই নেতার দাবি, আমাকে অপমান করার জন্য এসব গল্প বানানো হয়েছে। বিশ্বাস না হলে বসুন্ধরা কনভেনশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। অনুষ্ঠান চলাকালীন আমি সব সময় ডিপজল ভাইয়ের সঙ্গেই ছিলাম।