বাংলাদেশের ডাক্তারের তুলনায় কবিরাজ বেশি। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে অনেকেই কবিরাজি বিশ্বাস করে। তবে অনেক প্রতারক কবিরাজ রয়েছেন যারা মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদের সাথে প্রতারণা মূলক আচরণ করে এবং ভুল ভাল পরামর্শ দিয়ে থাকে। এমন একটি কবিরাজের কথা সম্প্রতি গণমাধ্যমে বেশ আলোচনায় উঠে আসে।
জ্বীনের হাত থেকে রক্ষা পেতে কবিরাজের পরামর্শে শি/ শুর সাথে খারাপ কাজ করার অভিযোগে মেজবাউল হক ঘুটুসহ তিনজনকে আটক করেছে র্যাব।
শনিবার সকালে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহর থেকে তাদের আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার খালেয়া এলাকার আজাহারুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সুরিনা বেগম। নিহতের বাড়িও একই এলাকায়। সে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
শনিবার বিকেলে রংপুরের আলমনগর পানি উন্নয়ন বোর্ডের র্যাব-১৩ সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার রেজা আহমেদ ফেরদৌস এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, স্কুল ছুটির পর ২ জুন দুপুরে শি/ শুটিকে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে আজহারুল ও সুরিনা তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। তারপর মেয়েটিকে দুপুরের খাবার খাওয়ান, তার মোবাইলে গান শুনান এবং অশ্লীল ভিডিও দেখান। একপর্যায়ে তারা কৌশলে বাসা থেকে বের হয়ে যায়।
এরপর ঘুটু ঘরে ঢুকে শি/ শুটিকে একা পেয়ে তাকে ধ/ র্ষণ করে চলে যায়। সন্ধ্যায় বাসায় ফেরার পর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিহতের বাবা বাদী হয়ে ৪ জুন গঙ্গাচড়া থানায় নারী ও শি/ শু নি/ র্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে শনিবার সকালে ঘুটুসহ তিনজনকে আটক করে র্যাব।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘুটু জানায়, সে জিনের দখলে ছিল। স্থানীয় এক কবিরাজ পরামর্শ দেন, শি/ শু ধ/ র্ষণের করলে জিন কখনো তাকে বিরক্ত করবে না। কবিরাজের পরামর্শে সে এমন খারাপ কাজ করে।
এই ঘটনায় ওই কবিরাজকে এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। তবে সেটি তদন্ত সাপেক্ষে যদি ওই কবিরাজের অপরাধ প্রমাণিত হয় সেক্ষেত্রে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন এই মামলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।