উজানে নাও ঠেলে চলতে হয়েছে সবসময় আওয়ামী লীগকে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। এই স্বাধীন দেশের জাতির পিতা হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। তার অকালন্ত চেষ্টার কারণেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জায়গা পেয়েছে। আর তারই যোগ্য কন্যা হলেন বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনেনত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি তিনি বলেছেন আওয়ামী লীগকে সবসময় উজানে নাও ঠেলে চলতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “জীবনে কখনো কারো কাছে মাথা নত করিনি। জীবন ভিক্ষা করিনি। এটা আমি আমার পরিবার থেকে, আমার বাবার কাছ থেকে শিখেছি। কারো কাছে বা অন্যায়ের কাছে মাথা নত করব না। শনিবার (১১ জুন) গণভবনে তার মুক্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগকে সব সময়ই উপরের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। দেশে ফেরার পর ‘৮৩ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিজিএফআই কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। যতবারই গ্রেপ্তার হয়েছি, ততবার নেতাকর্মীদের চিঠি দিয়েছি।’ চিঠি দিয়ে নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছি, দেশবাসীকে চিঠি দিয়েছি।’
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “আজ গণতন্ত্রের বিজয় দিবস। এই দিনে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের বিজয় নিশ্চিত করেছে। শেখ হাসিনার সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের বিজয় নিশ্চিত করেছে। , বাঙালিরা তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেয়েছে এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে।’
মুক্তি দিবসে দলীয় প্রধানকে শুভেচ্ছা জানাতে বেলা সোয়া ১২টার দিকে গণভবনে যান কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে সামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মইনুল হাসান খান নিখিল, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সাফিয়া বেগম, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা আক্তার ক্রিক, ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্যসহ শ্রমিক লীগ, মহিলা শ্রমিক লীগ, আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের নেতৃবৃন্দ একে একে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আ-লীগ সভাপতিকে।
২০০৮ সালের এই দিনে দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই সেনাসমর্থিত ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ দেশের ক্ষমতাসীন একটি দল। দলটির প্রতিষ্ঠাতা হলেন শেখ মুজিবর রহমান। যুদ্ধের পর থেকে এই দলটি নির্বাচনের মাধ্যমে বেশ কয়েকবার ক্ষমতায় এসেছেড এবং দেশের উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। বর্তমান সরকারের বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মধ্যে পদ্মা সেতু নির্মাণ অন্যতম।