সম্প্রতি বিয়ে বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে অনেকে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাচ্ছে। যার ফলে সমাজে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটছে। এসব ঘটনার কারনে ভেঙ্গে যাচ্ছে অনেক সংসার বাড়চ্ছে বিবাহ বিচ্ছেদ। ভুক্তভোগী পরিবার গুলো জড়িয়ে পড়ছে নানা প্রকার অপরাধমূক কাজে। এবার আলোচিত সেই চাচি ভাতিজার সাথে পালানো নিয়ে যা বললেন।
ফরিদপুরের সালথায় দুই সন্তান রেখে দূর সম্পর্কের ভাতিজার সঙ্গে পালানোর অভিযোগটি মিথ্যা বলে জানিয়েছেন সেই লাবনী বেগম। পারিবারিক কলহের জেরে রাগ করে পালিয়ে আত্মীয়ের বাসায় রয়েছেন বলেও এক ভিডিও বার্তায় জানান তিনি।
লাবনী বেগম উপজেলার মাঝরদিয়া ইউনিয়নের গোলপাড়া গ্রামের মো. জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী। তাদের সংসারে দুই মেয়ে আছে।
এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘ভাতিজার হাত ধরে চাচী পালিয়েছে’ এমন খবর প্রকাশিত হলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ইউপি সদস্য নুর আলম। খবরটি সত্য নয় দাবি করে তিনি বলেন, আমার মানসম্মান ক্ষুণ্ন করতেই এ খবর ছড়ানো হয়েছে।
এক ভিডিও বার্তায় লাবনী আক্তার জানান, স্বামী জাহিদুলের সঙ্গে একাধিক নারীর সম্পর্ক রয়েছে। প্রতিবাদ করায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে নির্যাতন করত। ৭ জুন সন্ধ্যায় তাকে গালিগালাজ করে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ায় রাতে আত্মহননের করতে বের হন। তবে আত্মহনন করতে না পেরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে পালিয়ে রয়েছেন। তিনি কারো সঙ্গে পালিয়ে যাননি।
মাঝরদিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য নুর আলম বলেন, লাবনীর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবু বকর মোল্যা নির্বাচনে হেরে এমন ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য আবু বকর মোল্যা বলেন, নূর আলম সম্পর্কে আমার ভাতিজা। আমি তার বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র করিনি।
সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা সার্কেল) সুমিনুর রহমান জানান, এ ঘটনায় এক যুবক স্ত্রী নিখোঁজের জিডি করেছেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।
প্রসঙ্গত, ভাতিজার সাথে পালিয়ে যাওয়া সেই চাচির দাবি করেন তিনি কারর সাথে পালিয়ে যাননি। তিনি তার স্বামীর সাথে ঝগড়া বাধিঁয়ে এক আত্মীয়ের বাসায় রয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি একেবারে মিথ্যা।