বাজেটে পাচারকৃত টাকা ফেরত আনার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। পাচারের অর্থ দেশের আনার সুযোগ কে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনা চলছে। বিষয়টি নিয়ে অনেক মহল বলছে সরকারের এমন সুযোগ পাচারকারীদের উৎসাহি করা হচ্ছে। যেখানে অর্থপাচারকারীদের ধরে শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন সেখানে তাদের সুযোগ তৈরী করে দেওয়া হচ্ছে। এবার পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার সুযোগ সম্পর্কে যা বললেন অর্থমন্ত্রী।
টাকার একটা ধর্ম আছে, সে যেখানে বেশি সুখ, বিলাস পায় সেখানে চলে যায় বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
শুক্রবার (১০ জুন) বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, কেউ স্যুটকেসে টাকা পাচার করে না। ডিজিটাল মাধ্যমে টাকা পাচার হয়। কোনো প্রমাণ ছাড়া এগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। তবে কিছু ক্ষেত্রে প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাচার হওয়া টাকাগুলো ফেরত আনতে চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, আমি কখনো বলিনি যে টাকা পাচার হয় না। কিন্তু কোনো তথ্য ছাড়া বলা ঠিক হবে না। যারা পাচারের সাথে জড়িত তাদের সম্পর্কে আমাদের কাছে তথ্য আছে। অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে আবার অনেকে জেলে আছে।
মুস্তফা কামাল বলেন, যারা টাকা বিদেশে পাচার করেছেন, তাদের জন্য দেশে টাকা ফিরিয়ে আনা এখন মোক্ষম সময়। কারণ, পাচার হওয়া অর্থ দেশে আনলে কোনো প্রশ্ন করা হবে না।
অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শামসুল আলম, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, শিক্ষামন্ত্রী মো. দীপু মনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, এনবিআর চেয়ারম্যান, অর্থ সচিব, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, এবার বাজেটে পাচারকৃত টাকা দেশে আনার সুযোগ রাখা হয়েছে। সেজন্য এবার পাচারকৃত টাকা কেউ ফেরত আনলে কোন প্রশ্ন করা হবে না। তাই এখটি টাকা ফেরত আনা মোক্ষম সময় বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।