প্রেমের বিষয়টি পরিবার মেনে না নেওয়ায় একসঙ্গে আত্মহননের সিদ্ধান্ত নেন দুই যুগোল। তাদের সিদ্ধান্ত সফল করতে প্রেমিক টগর সংগ্রহ করে কীটনাশক। কোনো পরীক্ষা না করেই কীটনাশক নিয়ে স্কুলের পেছনে গিয়েছিলেন দুইজন। সেখানে যাওয়ার পর প্রেমিক (৩০) কীটনাশক তার প্রেমিকার হাতে তুলে দেয়। প্রেমিকা তার (টগর) কথামতো কীটনাশক পান করার পরপর পালিয়ে যায় প্রেমিক। ঘটনাস্থল থেকে অসুস্থ প্রেমিকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়েছে গনমাধ্যেমে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
যশোরের চৌগাছা উপজেলার জগদীশপুর গ্রামে প্রেমিক-প্রেমিকা একসঙ্গে আত্মহননের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কীটনাশক পান করে প্রমিকা অতপর পালিয়ে যায় প্রেমিকা। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার (৮ জুন) সকাল ১০টার দিকে গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থ প্রেমিকা স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। অভিযুক্ত টগর (৩০) চৌগাছা উপজেলার জগদীশপুর গ্রামের বাসিন্দা। নির্যাতিতার মা জানান, তার মেয়ের সঙ্গে টগর নামের এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিছুদিন আগে তারা বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দেন। তবে কোনো পক্ষই তাদের বিয়ে মেনে নিতে রাজি হয়নি। বুধবার (৮ জুন) সকাল ১০টার দিকে প্রেমিক তার মেয়েকে স্কুলের উঠোনে ডেকে বলে, তারা দুজনে একসঙ্গে কীটনাশক পান করে আত্মহনন করবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টগর নিজে কীটনাশক কেনে। প্রেমিক (টগার) তার মেয়ের হাতে কীটনাশক দিলে সে তা পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় টগর পালিয়ে যায়। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে মেয়েটিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. লুৎফুন্নাহার জানান, ভিকটিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ জানান, ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, প্রেম করে বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ায় রাজি না হওয়া নিজেদের ভিতরে সিদ্ধান্ত নেয় আত্মহনন করার। তবে প্রমিকা সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ করলেও প্রেমিক না করে উল্টো ঘটনার পরপর ঘটনা স্থলথেকে পালিয়ে যায়। গত বুধবার সকাল ১০টার দিকে যশোরের চৌগাছা উপজেলার জগদীশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থ প্রেমিকাকে ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় আড়াইশ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কীটনাশক খেয়ে অসুস্থ ওই কিশোরীর মা বলেন, জগদীশপুর গ্রামের টগর নামে এক যুবকের সঙ্গে তার স্কুল পড়ুয়া মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি তারা বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু কোনো পক্ষই তাদের বিয়ে মেনে নিতে রাজি হয়নি বলেই হয়তো এই কান্ড ঘটিয়েছে।