বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। যতটা সম্ভব দেশের সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। তবে বর্তমানে এ পর্যায়ে আসাটা তার জন্য অনেক সহজ ছিল না। বিশেষ করে, এর পেছনে এমন একটি গল্প রয়েছে যা রীতিমতো সিনেমাকেও হার মানায়।
রাজনীতি ও ক্রিকেটের মাঠে অনেক বাউন্সার সামলেছেন তিনি। এবার অর্থমন্ত্রী হিসেবে তিনি তার চতুর্থ এবং বাংলাদেশের ৫১তম বাজেট পেশ করতে যাচ্ছেন।
কুমিল্লার লালমাই পাহাড় সংলগ্ন ছোট্ট গ্রাম দত্তপুর। যেখানে শিশুদের স্কুলের পাঠ নিতে পুরো পাহাড় পার হতে হতো। একবার স্কুলে যাওয়ার পথে পাহাড়ে গাছে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন মোস্তফা কামাল। চোখ মেলে দেখেন তাকে অনুকরণ করে বইখাতার দখল নিয়েছে শত শত বানর।
এক বৈঠকে মোস্তফা কামাল বলেন, “আমি যখন স্বপ্ন দেখছিলাম তখন আমার কিছুই ছিল না। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পড়াশোনা করেছি। আমি যদি পারি, তাহলে আমাদের সন্তানদের অবশ্যই পারতে হবে, তারা অবশ্যই সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, আমার আজীবন স্বপ্ন ছিল এদেশের মানুষের জন্য একটি বাজেট তৈরি করা। সাধারণত এক বছরের জন্য বাজেট করা হয়। এর মধ্যে, আমি উপাদানটি ছেড়ে দিয়েছি, আমি ২০৪১ সাল পর্যন্ত ব্যবহার করতে সক্ষম হবে এমন বিষয়বস্তু সামঞ্জস্য করেছি।
অপর এক বৈঠকে লোটাস কামাল বলেন, দেশের কোনো প্রান্তের মানুষ পিছিয়ে আছে, তাদের একটি তালিকা আমাকে পাঠান। আমি অবশ্যই তাদের জন্য প্রকল্প তৈরি করব। আমি বৃত্তি তৈরি করতে থাকব যাতে ২০৪১ সালে আমরা ২০টি প্রধান দেশের মধ্যে পৌঁছতে পারি।
পরের গল্পটা আরও বেশি অনুকরণীয়। দরিদ্র পরিবারের অভাব অনটন সঙ্গী করেই চলতে থাকে কামালের শিক্ষাজীবন। ১৯৬২ সালে এসএসসি, ৬৪ সালে পাস করেন এইচএসসি। স্নাতকোত্তর করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন আর হিসাববিজ্ঞান বিভাগ থেকেও। আর ১৯৭০ সালে তো গোটা পাকিস্তানের চার্টার্ড একাউনটেন্সি পরীক্ষার মেধা তালিকায় সম্মিলিতভাবে অর্জন করেন প্রথম স্থান পান লোটাস উপাধি।
তবে এসব ছাড়াও রাজনীতির মাঠে তিনি যে অবদান রেখেছেন, তা কখনও ভোলার নয়। দেশের মানুষের জন্য জেল-জুলুমও সহ্য করতে হয়েছে তাকে। তবে এরপরও পিছু হাটেননি তিনি। জীবনের মায়া ত্যাগ করে মানুষের জন্য লড়েছেন তিনি।