বিগত বেশকিছুদিন ধরেই চাচীর বাসায় যাতায়াত করে আসছিলেন ইউপি সদস্য নুরুল আলম। আর সেই ধারাবাহিকতার মধ্যদিয়ে একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা। মঠোফোনে কথা বলাসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতেও যেতেন তারা। আর এরই মধ্যে এবার চাচীকে নিয়ে রীতিমতো পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে নুরুল আলমের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুরে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মাঝারদিয়া ইউনিয়নের গোলপাড়া গ্রামের মৃত আ.সামাদ মোল্লার ছেলে জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী।
বুধবার বিকেলে গৃহবধূর স্বামী জাহিদুল ইসলাম সালথা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লাবনী বেগম ইউপি সদস্য নুরুল আলমের চাচী। জাহিদ দীর্ঘদিন ধরে তার বাসায় বেড়াতে আসছিল। লাবনী বেগম দুই কন্যা সন্তানের জননী। তার বড় মেয়ে মারিয়া আক্তার ও ছোট মেয়ে ফারিয়া আক্তার। দুই মেয়েকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন জাহিদুল।
জাহিদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, লাবনী নুরুল আলমের সাথে তার সমস্ত নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়। লাবনী টয়লেটে যাওয়ার নাম করে গভীর রাতে বাসা থেকে বের হয়। বাড়ি ফিরতে অনেক দেরি হয়ে গেলে পরিবারের সবাই বাড়ির আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করে তাকে কোথাও পায়নি।
জানা যায়, প্রায় ১০ বছর আগে উপজেলার গোট্টি ইউনিয়নের সিংহপ্রতাপ গ্রামের মোঃ মোফাজ্জল খালাসীর মেয়ে লাবনী আক্তারের সাথে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক জাহিদুল ইসলামের বিয়ে হয়।
এদিকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানার এস আই আওলাদ হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এ ঘটনায় ইতিমধ্যে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। আর সেই আলোকে বিষয়টি খুতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।