প্রেমের টানে ঘর-বাড়ি ত্যাগ করে ভালোবাসার মানুষের কাছে ছুটে যাওয়ার ঘটনা এখন নিতান্তই সাধারণ একটি বিষয়টি। বলতে গেলে, সারাবিশ্বেউ এখন এ ধরণের ঘটনা ঘটছে অহরহ। আর সেই ধারাবাহিকতার মধ্যদিয়ে এবার সুদূর মরিশাস থেকে এবার বাংলাদেশ ফরিদপুরের ছুটে এসেছেন বিবি সোহেলা নামে এক তরুণী। এ ঘটনায় গোটা গ্রামজুড়ে বেশ আলোড়ণ সৃষ্টি করেছে।
স্বামী মোস্তাকিন ফকির ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার রামনগর ইউপির রাধানগর গ্রামের কৃষক খবির ফকিরের ছেলে।
গত শনিবার সকালে মরিশাস থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান বিবি সোহেলা। পরে তাকে ফরিদপুরে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন মোস্তাকিন। বিদেশি কনে আসার খবরে আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কনে দেখতে মোস্তাকিনের বাড়িতে ভিড় জমায়।
সোহেলার জন্ম মরিশাসের রাজধানী পোর্ট লুইসের এক মুসলিম পরিবারে। সেখানকার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতক হন। বর্তমানে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। আর সেখান থেকেই পরিচয় হয় তরুণ বাংলাদেশি মোস্তাকিনের সঙ্গে। বিদেশি বধূকে বাড়িতে দেখে খুশি মোস্তাকিনের পরিবার।
মোস্তাকিনের বাবা খবির ফকির জানান, তার ছেলে তাদের সম্পর্ক ও বিয়ের কথা আগেই জানিয়েছিল। পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা বিমানবন্দরে গিয়ে পুত্রবধূ সোহেলাকে স্বাগত জানান।
মোস্তাকিন ফকির জানান, সাড়ে তিন বছর আগে তাদের প্রথম দেখা হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে দেশের একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। টানা দুই বছর প্রেমের পর তাদের বিয়ে হয়েছে। স্ত্রী এক মাসের জন্য বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছেন।
এদিকে এমন পেয়ে দ্রুত মোস্তাকিন ফকিরের বাড়িতে ছুটে আসেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. কাইমুদ্দিন মণ্ডল। এ সময়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমজে জানান, বিদেশি ওই বধূকে দূর-দুরান্ত থেকে মোস্তাকিনের বাসায় ছুটে অনেকেই। কেউ তাদের সঙ্গে ছবি তুলছেন, আবার কেউ করছেন ভিডিও।