সম্প্রতি এক তরুনী বিয়ের দুই মাস পর সাত মাসের গর্ভবতী বলে জানাজানি হওয়ায় ব্যাপারটিকে কেন্দ্র করে উক্ত এলাকায় ব্যাপক আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়েটিকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় শেখর ইউনিয়নের বারগাঁও গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার দুই মাস আগে মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার তথ্য সত্য বলে নিশ্চিত করেছে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ইয়াসিন হাওলাদার (৫০) নামে এক তরুণীকে একাধিকবার খারাপ কাজের অভিযোগ উঠেছে। খারাপ কাজের শিকার হওয়া নারী বর্তমানে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনায় বুধবার কিশোরীর মা বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় একটি খারাপ কাজের মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চান্দুপাড়া গ্রামের মেয়েটির মা ও বাবা গভীর রাতে নদীতে মাছ ধরতে যেতেন। প্রায় ছয় মাস আগে ইয়াসিন নামের এক মুদি তাদের বাড়ির দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ওই নারীকে একাধিকবার খারাপ কাজ করে। ঘটনা কাউকে জানালে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় ইয়াছিন। এদিকে দুই মাস আগে ওই তরুণীর বিয়ে হয়। গত ৪ জুন স্বামীর বাড়িতে শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখে বিষয়টি পরিবারের নজরে আসে। কলাপাড়া থানার ওসি মো. জসিম জানান, ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিয়ের মাত্র দুই মাসের মাথায় এক নারী সাত মাসের অন্তঃসত্বা এমনই একটা ঘটনা ঘটেছে সম্প্রতি পটুয়াখালি জেলায়। ভুক্তভোগী নারীর মায়ের দাবি তারা প্রায়ই রাতে তাদের ভুক্তভোগী মেয়েকে ঘরে রেখে মাছ ধরতে যেতেন, সেই সুযোগে স্থানীয় এক মুদি দোকানদান তাদের ঘরে ডুকে তাদের মেয়েকে একা পেয়ে জোড়পুর্বক খারাপ কাজ করে। যার ফলস্বরুপ আজ তাদের মেয়ের এই পরিনতি এমনটাই জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর মা। তবে ভুক্তভোগীর মা নিজেই বাদি হয়ে অভিযুক্তের নামে একটি মামলা দায়ের করেছেন স্থানীয় থানায়।