সম্প্রতি সালমান খান ও তার বাবাকে প্রাণ কেড়ে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে এমনই এক সংবাদে স্থানীয় গনমাধ্যমে রীতিমত আলোচনার ঝড় বইছে। প্রাণনাশের চিঠি পাওয়ার পর থেকে বলিউড তারকা সালমান খানের নিরাপত্তা আগের তুলনায় আরো জোরদার করা হয়েছে। মুম্বাই পুলিশ এই বিষয়ে কোনো প্রকার ছাড় দিতে রাজি নয়। সোমবার মুম্বাইয়ের কালিনা বিমানবন্দরে পুলিশের নিরাপত্তায় সালমান খানকে দেখা গেছে। এর আগের দিন সালমান খান ও তার বাবা সেলিম খান হুমকিমূলক চিঠি পান।
ভারতে মাত্র ২৮ বছর বয়সী সিধু মুসা ওয়ালার প্রয়ানের খবর সবাইকে রীতিমত চমকে দিয়েছে। তার প্রয়ানের পর সতর্কতামুলক চিঠি পৌঁছে যায় বাণিজ্যিক শহরে। বলিউডের ভাইপো ওরফে সালমান খানকে প্রাণনাশের জন্য সতর্ক দেওয়া হয়েছে। এমন খবরই চলছে গণমাধ্যমে। সালমান খানের বাবা সেলিম খানও রেহাই পাননি। এরপর থেকেই পেজ থ্রির খবরে লাইমলাইটে চলে আসেন সালমান। সোমবার মুম্বাই বিমানবন্দরে দেখা যায় তাকে।
নিরাপত্তারক্ষীরা সালমানের চারপাশে ভিড় করছেন। গাড়িটি বিমানবন্দরে প্রবেশ করতেই প্রথমে সেখান থেকে নেমে আসেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। এরপর সালমানকে গাড়ি থেকে বের করে আনা হয়। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ব্যক্তিগত দেহরক্ষী শেরা। হুমকির মুখে মুম্বাই ছেড়ে গেলে কী হবে ভাতিজা? এই জল্পনা চলছিল দিনভর। অবশেষে বিকেলে, সন্ধ্যায় সামনে এল আরও একটি চমকপ্রদ তথ্য।
ভাইজানকে দেওয়া হুমকিমূলক চিঠি নিয়ে যখন গোটা দেশ উত্তেজিত ছিল, তখন একটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদ সংস্থার সূত্র সালমান খানকে মুম্বাই পুলিশকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে তিনি কোনও হুমকিমূলক ফোন কল বা চিঠি পাননি। এগুলো অনেক আগের ঘটনা। সোমবার মুম্বাই পুলিশ সালমান খান ও তার বাবা সেলিম খানের জবানবন্দি রেকর্ড করেছে। সোমবার সালমানের গ্যালাক্সিতে অভিযান চালায় সিবিআই। তিনি অভিনেতার অ্যাপার্টমেন্টে গিয়েছিলেন। প্রতিদিন সকালে সালমান তার দেহরক্ষীদের সাথে বেড়াতে বের হন। সালমান একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বিরতি নেন। সেখানেই চিঠি পান অভিনেতা। যা খুঁজে পান সালমানের নিরাপত্তারক্ষীরা। যেখানে লেখা ছিল তোমার অবস্থা মুসেওয়ালার মতো করে দেব।
এর আগে ২০১৮ সালে সালমান খানকে জেল থেকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিলেন লরেন্স বিষ্ণু! লরেন্স বিষ্ণু বিতর্ক সালমান খানের কৃষ্ণসার হরিণ মামলার সাথে যুক্ত। লরেন্স বিষ্ণু সেই সম্প্রদায়ের। যে কারণে সালমান খানের ওপর ভীষণ ক্ষুব্ধ এই সুপার কিলার। রেডিও ছবির শুটিং চলাকালীন সালমান খানকে প্রাণনাশের ষড়যন্ত্রও করেছিলেন লরেন্স। কিন্তু, সেই সময়ে, লরেন্স বা তার মন কেউই তার পছন্দের অস্ত্র খুঁজে পায়নি। ভাগ্যক্রমে ভাগ্নে বেঁচে যায়।
উল্লেখ্য, সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ইনস্টা// গ্রামে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, সালমানের গাড়ি বিমানবন্দরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে প্রথমে নেমে আসেন এক পুলিশ অফিসার। এরপর সালমানকে গাড়ি থেকে বের করে আনা হয়। তাঁর ব্যক্তিগত দেহরক্ষী শেরাও সেখনে উপস্থিত ছিলেন। সালমান খানের পরনে একটি নীল টি-শার্ট এবং একটি নীল চেক শার্ট ছিল, সঙ্গে ডেনিম প্যান্ট। করো//নার নতুন নিয়ম মেনে মুখে মাস্কও পরেছিলেন তিনি। জানা গেছে, সালমান তার নতুন ছবির কাজ করতে প্রাইভেট প্লেনে হায়দরাবাদ গেছেন।