বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। আর এই স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তিনি এই দেশের সরকার প্রধান হিসেবে আসীন রয়েছেন এবং সততা ও নিষ্ঠার সহিত তিনি তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেন যে জিনিসপত্রের দাম আসন্ন দিনগুলোতে আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।
পদ ছাড়ার পর তিনি কী করবেন তা এই মুহূর্তে অজানা। এ অবস্থায় পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলন না করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেলে গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাবে। তাহলে বেতন বাড়ানোর সুযোগ থাকবে না। দুই পক্ষই হারাবে শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (৭ জুন) ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছে। বেতন বন্ধ হয়নি।
শ্রমিকদের জন্য ভর্তুকি সরাসরি তাদের দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় যেসব নেতা উসকানি দিচ্ছেন তাদের সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছে। চল এটা করি.
রপ্তানি বন্ধ হলে মজুরি বাড়বে না। গার্মেন্টস বন্ধ থাকবে। তাহলে বেতন বাড়বে না। চাকরি চলে যাবে। নেতাদের কোনো ক্ষতি হয় না। গার্মেন্টস বন্ধ হলে শ্রমিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাইকে বাঁচাতে হবে। উৎপাদনও বাড়াতে হবে। এ অবস্থায় অস্থিরতা থাকলে দেশের ক্ষতিও নিজের ক্ষতি। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সামনে দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তের মানুষেরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। অনেক পরিবার আছে যারা চোক্ষু লজ্জায় পারছে না ছোটো কোনো কাজ করতে। তাই ভুগছে দুর্ভোগে।