পদ্মাসেতুর সাথে সীতাকুন্ডের কান্ডের যোগসূত্র নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ খোদ তথ্যমন্ত্রীর
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের খুশির খবর ম্লান করতে কি পরিকল্পনামাফিক ঘটানো হয়েছে সীতাকুন্ডের ঘটনা, এমন সন্দেহ প্রকাশ করছেন খোদ তথ্যমন্ত্রী। বরাবরই ভিন্ন ভিন্ন ধারনা ও মতবাদ প্রকাশ করতে বেশ পরিচিত এই মন্ত্রী ।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আসন্ন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সারা দেশে যে আনন্দ সৃষ্টি হয়েছে তা চাপা দিতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে দুর্ঘটনাটি নাশকতা কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটা কি নিছক দুর্ঘটনা, নাকি দেশের ভাবমূর্তি ও রপ্তানি বাণিজ্যকে ক্ষুন্ন করার জন্য?
সোমবার সন্ধ্যায় সীতাকুণ্ডের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (সিএমসি) হাসপাতালে বিস্ফোরণে আহতদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান, চমেকের অধ্যক্ষ মো. শাহেনা আক্তার, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।
হাছান মাহমুদ এমপি বলেন, “আপনারা জানেন পদ্মা সেতু নির্মাণের পর এবং পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণার পর দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। কোথাও কোথাও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। জনগণের দৃষ্টি সরাতে হলে সীতাকুণ্ড দুর্ঘটনায় কোনো নাশকতা আছে কি না, তা খুঁজে বের করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘কিছু টেলিভিশন ও পত্রিকায় জানা গেছে, এই কনটেইনার ডিপোটি আওয়ামী লীগ নেতার। জানতে পারলাম আওয়ামী লীগ নেতা মজিবুর রহমানের এই ডিপোর মালিকানা মাত্র ৫ শতাংশ। ৯৫ শতাংশের কথা না বললেই নয়, ৫ শতাংশ মালিককে মালিক দেখিয়ে এই কাজটি যারা করেছে, যারা একে আওয়ামী লীগ নেতার ডিপো বানানোর চেষ্টা করেছে, তাদের সাংবাদিকতা সঠিক নয়। ভুল তথ্য হয়েছে। ‘
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্ঘটনার পরপরই প্রধানমন্ত্রী প্রশাসন এবং আমাদের দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য কিছু করার নির্দেশ দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী, সিভিল প্রশাসন ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বেসরকারি হাসপাতালগুলো তাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। ‘