Sunday , November 24 2024
Breaking News
Home / Countrywide / স্বামীর সাথে শারীরিক সম্পর্কে রাজি নন স্ত্রী, ঘটালেন অপ্রত্যাশিত কান্ড

স্বামীর সাথে শারীরিক সম্পর্কে রাজি নন স্ত্রী, ঘটালেন অপ্রত্যাশিত কান্ড

বিয়ে হলো একটি শুভ কাজ যার মধ্যমে তৈরী হয় একটি পবিত্র বন্ধন। এই বন্ধন হলো চিরো স্থায়ীত্বের বন্ধন। বিয়ে করার পরে স্বামী-স্ত্রীর প্রতি সৃষ্টি হয় গভীর ভালোবাসার। তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হবে এইটা হলো একটি সাধারণ বিষয়। তবে এইক্ষেত্রে যদি কেউ অনিচ্ছা পোষণ করে তাহলে বিষয়টি গড়ায় ভিন্ন দিকে। সম্প্রতি ঘটেছে তেমনি ঘটনা। শারীরিক সম্পর্কে রাজি নন স্ত্রী বিচ্ছেদ চেয়ে আদলতে স্ত্রী।

প্রিয়দর্শিনীর ডিভোর্স কেস নিয়ে শোরগোল চরমে। অনেকেই এই মামলাটিকে জনি ডেপ এবং অ্যাম্বার হার্ডের তিক্ত মামলার সাথে তুলনা করছেন। দুই সুপারস্টারের হাই প্রোফাইল ডিভোর্সের ঘটনায় একের পর এক চমকপ্রদ তথ্য সামনে এসেছে ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে।

বিয়ের আট বছর পার হলেও শারীরিক ঘনিষ্ঠতা হতে দেননি স্ত্রী। দাম্পত্য জীবন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন সাংসদ অভিনব মোহান্তি। একই সঙ্গে তিনি বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। সেই মামলায় সাব-ডিভিশনাল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বর্ষা প্রিয়দর্শিনীকে তার স্বামী অনুভব মোহান্তিকে বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে স্বামীকে স্ত্রীকে ৩০ হাজার টাকা দিতে বলেছেন সাংসদ।

ওড়িয়া শিল্পের জনপ্রিয় মুখ অনুভূতি ও বৃষ্টি। পরে রাজনীতির মাঠেও পা রাখতে সফল হন অভিজ্ঞতা।২০১৪ সালে, অনুভব-প্রিয়দর্শিনী অত্যন্ত আড়ম্বর এবং জাঁকজমকের সাথে সাতপাকে বাঁধা হয়েছিল। কিন্তু রূপকথার ছন্দ কিছু দিনের মধ্যেই ম্লান হয়ে যায়। স্বপ্নের বিয়ের নোংরা রূপ প্রকাশ্যে আসে। শোনা যাচ্ছে, বিয়ের কয়েকদিন পরই অভিনেত্রী ও তার স্বামীর মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। স্ত্রীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন অনুভব। তিনি আদালতে বলেন, বিয়ের এত বছর পরও তাদের মধ্যে কোনো শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। অনুভূতি অনুযায়ী তাদের মধ্যে কোনো স্বাভাবিক বৈবাহিক সম্পর্ক নেই। তিনি আদালতে আরও দাবি করেন, তিনি বর্ষার সঙ্গে নানাভাবে কথা বলেছেন এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাটি জানার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু প্রতিবারই তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। স্ত্রী শারীরিক ঘনিষ্ঠতা হতে দেয়নি। আমরা আবেগগতভাবে ‘গ্যাস ফুরিয়ে’ অনুভব করছি।

এখানেই শেষ নয়, মামলার শুরু থেকেই অনুভবের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনে পল্টা বর্ষাও। স্ত্রী হিসেবে তার অভিযোগ ছিল, নেশা বোধ করত। মাতাল হওয়ার অভিযোগ করলেন অনুভবের স্ত্রী। একাধিক অবৈধ সম্পর্ক ছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি। একই সঙ্গে বর্ষার সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ অনুভব করা তাকে মা হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে। সূত্র: এই সময়।

আসলে কারো ইচ্ছের বিরুদ্ধে কিছুই করা যায় না। আর যদি করাও যায় তাহলে সেইটা আন্যায়মূলক কাজ হিসেবে বিবেচিত করা হয়। যদিও বিয়ের পরে স্বামী স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্ক হলো বৈধ। তবে স্ত্রী যদি না চায় তাহলে সেখানে জোড় করার কিছুই থাকেনা। তবে অনেকে মনে করেন যদি এমনি হবে তাহলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কি দরকার ছিল।

About Shafique Hasan

Check Also

বাংলাদেশিদের ভিসা না দিয়ে এবার বড় বিপাকে ভারত

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কে শীতলতা সৃষ্টি হওয়ায় কলকাতার অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে। গত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *