Tuesday , December 24 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ছিঃ ছিঃ ছিঃ আগডুম বাগডুম ঘোড়াডুম সাজে, সাবেক সিইসি ভদ্দন্নোক সাজে

ছিঃ ছিঃ ছিঃ আগডুম বাগডুম ঘোড়াডুম সাজে, সাবেক সিইসি ভদ্দন্নোক সাজে

আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন ( Dhaka City Corporation ) নির্বাচন ইভিএম ব্যবহার করেই অনুষ্ঠিত হবে বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ নির্বাচন কমিশন। এর আগে কিছু স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনেও আমাদের নির্বাচন কমিশনকে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের তীব্র প্রতিবাদের মুখে ক্ষমতাসীন দলের দাবির ওপর নির্ভর করে আংশিকভাবে ইভিএম ব্যবহার করতে দেখা গেছে।

মুখে অস্বস্তির কথা বলে। কিন্তু অনলাইনে তার কয়েকটি বক্তৃতা পড়ে তেমন কিছু মনে হয়নি। তার মধ্যে অস্বস্তিকর কিছু নেই, অনুশোচনা নেই। কেউ কি এমন আশা করেছিল! কিন্তু এখনও চমক আছে। কেন যেন মনে হচ্ছে ভদ্রলোকের জ্ঞান ফিরছে! অন্ততঃ কিছুটা। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। সিইসির আমলে তিনি ছিলেন অবিচল, অটল। চশমা পরেও কোথাও কোনো অনিয়ম দেখতে পেলাম না। সান্ত্বনা এবং উত্তেজনা সবসময় সঙ্গী ছিল, তবে শনিবার ( Saturday ) এক সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে বলা হয়েছে, ‘আসলে বিএনপির ( BNP ) ভোট ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না: কে এম নুরুল হুদা। তিনি আরও কী দিয়েছেন তা নিয়ে পরে আলোচনা করব।

গত সংসদ নির্বাচন নিয়ে ৩১ ডিসেম্বর ( December ) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৎকালীন সিইসি কে এম নুরুল হুদা। কী বলেছিলেন সেদিন? প্রথম আলো অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, ভোট নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট। ভোটে কোনো অনিয়ম হয়নি। ভোটে তাদের লজ্জা নেই। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা হয়েছে. আজ রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে ভোট-পরবর্তী ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সাংবাদিকরা কে এম নুরুল হুদাকে ( KM Nurul Huda ) প্রশ্ন করেন, যেভাবে নির্বাচন হয়েছে তাতে আপনি সন্তুষ্ট নাকি লজ্জিত? প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিপুল ভোটার উপস্থিতি ছিল। বিপুল উৎসাহে ভোট দিয়ে তারা নতুন সরকার গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে।

দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে যা দেখেছি, তাতে মনে হচ্ছে, গতকাল ( Yesterday ) ভোটের উৎসবে জাতি মিলিত হয়েছিল। দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ১৪ জনের প্রাণহানির জন্য আমরা দুঃখিত। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, এক দল চার লাখ ভোট, আরেক দল ৪০০ ভোট, শক্তির বিচারে দুই সমান দলের মধ্যে এত পার্থক্য কীভাবে হতে পারে? বিরোধী দলগুলো উপনির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছে। এটা তখনই আমাদের নজরে আসে। মানুষ ভোট দিয়েছে তাই ভোটে এত পার্থক্য। তাই আমরা নতুন নির্বাচন দেব না। যেমনটা আমরা মিডিয়া, টেলিভিশন, সংবাদপত্রে দেখেছি, কোনো অনিয়ম হয়নি। এখন পর্যন্ত কোনো অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি। পাওয়া গেলে তদন্ত করে দেখব।’ আগের রাতে ( night ) ব্যালটে সিল মারার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ অসত্য।

শনিবার ( Saturday ) এফডিসিতে ( FDC ) ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন সম্ভব শীর্ষক ছায়া সংসদের আলোচনা সভায় নুরুল হুদা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের ( Bangladesh ) এক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী নির্বাচনে বিএনপি না থাকলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ব্যর্থ হলে পদত্যাগ না করে কাজ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। এদেশে বন্দুক ও লাঠি উঁচিয়ে ভোট, এ সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে। মানবজমিন অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিসচার্জের সময় কোনো চাপ ছিল না বলে জানিয়েছেন সিইসি। যাইহোক, জাতীয় নির্বাচনের সময়, কোথাও 100% ভোট পড়ে যাওয়ায় আমাকে অস্বস্তি বোধ করতে হয়েছিল। ইভিএমে ত্রুটি রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন সাবেক এই সিইসি।

বাংলাদেশের ইতিহাস দেখেছে নানা কিসিম ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন। কেউ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন। কেউ অনুপস্থিতিতে ভোট দেওয়ায় সমালোচিত হয়েছেন। কেউ কেউ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। কে এম নুরুল হুদা অবশ্যই অনন্য অবস্থানে থাকবেন। তার সময়ে শুধু ভোট ব্যবস্থাই ভেঙে পড়েনি, এ নিয়ে তাকে কখনো বিচলিত হতে দেখা যায়নি। যতই বলা হোক না কেন, নির্বাচন কমিশন চাইলেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব, বাস্তবে তা সত্য নয়। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদেরও বড় ভূমিকা রয়েছে। সেক্ষেত্রে নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন কখনোই স্বতন্ত্র নির্বাচনের চেষ্টা করেনি। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন কমিশনের সদস্য মাহবুব তালুকদার।

এটি পশ্চিমা বিশ্বে বেশি দেখা যায়। কাঁধে ব্যর্থতা। এটি পদত্যাগকারী ব্যক্তিকে সম্মান করে। আমাদের এখানে তেমন একটা ঐতিহ্য নেই। থাকলে হয়তো কে এম নুরুল হুদার মতো ব্যক্তিরা মেয়াদ পূর্ণ করতে পারতেন না। কিন্তু তার মতে, পদত্যাগ কাপুরুষের কাজ। সে কাপুরুষ নয়। তাই পদত্যাগ করেননি। কি দারুন! কি চমৎকার জিনিস. ১০০ শতাংশ ভোট নিয়ে সাবেক সিইসির অস্বস্তিতে কেউ বিস্মিত না হয়ে সাহায্য করতে পারে না। তখন তারও অস্বস্তি! সত্যিই? তবে কি তিনি আগের মতো গত সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখনো সন্তুষ্ট? লজ্জিত নই? তার জন্য কত আশা!

সূত্র: মানবজমিন পাঠকের মতামত

>>ছিঃ ছিঃ ছিঃ !! সাবেক সি,ই,সি !! আগডুম বাগডুম ঘোড়াডুম সাজে, সাবেক সিইসি ভদ্দন্নোক সাজে। সাজতে সাজতে নুরুল কাগু, হইছে দেখতে একদম ছাগু ! ছাগুর ছানা ব্যা ব্যা করে, এখন কেও তার খোজ নেয়নারে !

>কারো কারো পক্ষে কাপুরুষ হওয়া সম্ভব হয় না শুধু একটা কারণে। সেটা হলো, সে পুরুষই নয়।

>>ইনি বোধ করি তলায় কুড়াতে এসে দেখেন গাছে যারা তাকে চড়িয়ে ছিল >>তারা তলায় কিছুই রাখেনি। এখন অপ্রাপ্তি ও হতাশায় নিমজ্জিতের মত এমন অসহায় উক্তি। বেচারা!

সাবেক হবার এটাই মজা। খুলে যায় প্যান্ডোরার বাক্স। বেরিয়ে আসে থলের বেড়াল। আর আমরা হ্যাঁ করে ভাবি- “এ কী কথা শুনি আজ মন্থরারা মুখে!

উল্লেখ্য, ইভিএম নিয়ে সবচেয়ে বড় জটিলতা হল রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ১৫ জুন ২০১৩ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। জটিলতার কারণে ইসিকে দ্বিতীয়বারের মতো ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করতে হয়। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও একটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যর্থ হয়েছে। এসব কারণে ২০১৩ সালের পর আর কোনো নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়নি। তখন ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১০০টি ইভিএম তৈরি করা হয়েছিল।

About Nasimul Islam

Check Also

ভারতের গণমাধ্যমে প্রতিবেদন ফাঁস, বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা

ভারতের গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *