এই মুহুর্তে সারা-দেশজুড়ে বেশ আলোচনায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ( Sitakunda, Chittagong ) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। টানা ১৪ ঘন্টা প্রাণপন চেষ্টা চালিয়েও আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হননি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এদিকে সর্বশেষ জানা গেছে, ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩০ জনের অধিক, এবং আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭০ জনেরও বেশি।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ( Sitakunda, Chittagong )র ভাটিয়ারী এলাকায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে প্রায় ২০ হাজার কনটেইনার রয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এর মধ্যে কয়েকটি পাত্রে দাহ্য পদার্থ ছিল। আর সেখানেই ঘটে বিস্ফোরণ। যেখানে হাইড্রোজেন পারক্সাইড সংরক্ষিত ছিল। বিএম কন্টেইনার ডিপোর মালিক দাবি করেছেন, বিস্ফোরণে কয়েক হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে স্মার্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিএম ও কন্টেইনার ডিপোর পরিচালক মজিবুর রহমান ( Mojibur Rahman ) বলেন, আমারতো ভাই সব শেষ। এই অগ্নিকাণ্ডে আমার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। হাইড্রোজেন পারক্সাইড রাসায়নিকগুলি কখনই নিজের দ্বারা জ্বলে না। অতিরিক্ত তাপে আগুন ধরে যায় এবং বিস্ফোরণ ঘটে। ফায়ার সার্ভিস ঠিকমতো কাজ করলে আমার কিছুই হতো না।
তিনি বলেন, আমার মনে হয় রাসায়নিক ও গার্মেন্টস পণ্য থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে।
মজিবুর রহমান জানান, ডিপোতে শতাধিক শ্রমিক ছিল। আহতদের চিকিৎসার খরচ আমরা বহন করছি। আমি কীভাবে অন্যদের সাহায্য করতে পারি যারা আহত হয়েছে, কীভাবে আমি আহতদের সাহায্য করতে পারি তা নিয়ে কাজ করছি। আমি এই মুহূর্তে নিজেই আছি হাসপাতালে। আমরা চট্টগ্রাম ও সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন হাসপাতালে আমাদের কর্মীদের চিকিৎসা ব্যয় তত্ত্বাবধান ও বহন করছি।
কেন রাসায়নিক লুকিয়ে রাখা হয়েছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন: “আমরা ফায়ার সার্ভিসের কাছ থেকে কোনো তথ্য গোপন করিনি। এটিই এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, নৈতিক ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে, ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো।
এদিকে উদ্ধার কাজ চালাতে এসে রীতিমতো প্রাণ হারিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকজন কর্মী। এবং আহত হয়েছেন অনেকেও। তবে এ অবস্থার মধ্যে দিয়েও হাল ছাড়েননি তারা। জীবনের মায়া ত্যাগ করে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।