রাজশাহীর গোদাগাড়ী-তানোরে ( Godagari-Tanore Rajshahi ) আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দুই গ্রুপের ভিতরে হাতাহাতি শুরু হয় অনুষ্ঠানের পুর্বেই। ৪ জুন ( June ) শনিবার বিকালে বিকালে এই বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। এই বর্ধিত সভায় উপজেলার সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে বাদ দিয়েই এই বর্ধিত সভা কার্যক্রমের পরিচালনা করা হয় বলে জানা গেছে স্থানীয় সুত্রে। দুই পক্ষ্যের ভিতরে হাতাহাতি শুরু হলে স্থানীয় এমপির সমর্থিত ব্যাক্তিতা উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর ( Godagari-Tanore )) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ক্ষমতাচ্যুত করে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের ( Awami League ) বর্ধিত সভা করেছেন। শনিবার সকালে বর্ধিত সভার অনুষ্ঠানে দুই পক্ষ্যের ভিতরে হাতাহাতি শুরু হয়। এতে এমপির পক্ষে থাকা লোকজন ক্ষুব্ধ হলে উপজেলা কমিটির সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ( Abdullah Al Mamun ) অধিকাংশ নেতাকর্মী সভাস্থল ত্যাগ করেন। তানোর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বর্ধিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ( Rajshahi District Awami League ) ( Awami League ) সভাপতি অনিল কুমার সরকার ( Anil Kumar Sarkar ) ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ ( Abdul Wadud ) দারা। তবে তারা এমপি ফারুক ও তার সমর্থকদের থামাতে পারেনি। তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের ( Awami League ) সভাপতি গোলাম রাব্বানী অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে ১৬ জুন ( June ) কাউন্সিল ( Council ) ডাকা হয়েছে। সম্মেলন উপলক্ষে শনিবার সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের ( Awami League ) বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি। এ সময় সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনসহ জেলা ও উপজেলা কমিটির অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শুরুর ঘণ্টাখানেক পর এমপি ফারুক চৌধুরী ( MP Farooq Chowdhury ) তার সমর্থকদের নিয়ে সভাস্থলে প্রবেশ করেন। এ সময় হাইব্রিড হিসেবে পরিচিত ফারুক চৌধুরীর বেশ কয়েকজন সমর্থক মঞ্চের দিকে ছুটে আসেন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন।
এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ফারুক চৌধুরীর কয়েকজন অনুসারী আমাকে ও মামুনকে মঞ্চ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় সাধারণ সম্পাদকসহ উপজেলা কমিটির নেতারা হল থেকে বেরিয়ে আসেন। এদিকে বর্ধিত সভা থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কার করার পর ফারুক চৌধুরী তার কয়েকজন অনুসারীকে নিয়ে আবার সভা শুরু করেন। সংক্ষিপ্ত আলোচনার পর বর্ধিত সভা শেষ হয়। অন্যদিকে, বর্ধিত সভায় বিশৃঙ্খলার কারণে ১৬ জুন ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল বাতিল হতে পারে বলে জানিয়েছেন জেলা নেতারা। উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন দেশের একটি জনপ্রিয় গনমাধ্যমকে বলেন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাকে তাই জানিয়েছেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কিছু সমস্যা রয়েছে তানোরের সংসদ সদস্য মো. উভয় পক্ষই আমাকে আশ্বস্ত করেছে যে তারা কাউন্সিলের বর্ধিত সভা করতে রাজি হবে। কিন্তু তারা কেউ কথা বলেননি।
তারা একসঙ্গে কাজ না করলে তানোরে কাউন্সিল করা সম্ভব হবে না। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে মঞ্চ থেকে সরিয়ে তানোর উপজেলা কমিটির বর্ধিত সভা করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী দেশের একটি জনপ্রিয় গনমাধ্যমকে বলেন, রব্বানী-মামুন উপজেলা ও পৌরসহ বিভিন্ন নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করেছেন। নির্বাচন এবং ইউপি নির্বাচন। ফলে অনেক এলাকায় দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীরা জয়ী হতে পারেননি। বর্ধিত সভায় তাদের মঞ্চে দেখে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরিস্থিতি বুঝে তারা নিজ থেকেই চলে যায়। তাদের উচ্ছেদের কোনো ঘটনা ঘটেনি। জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের মঞ্চে বসতে বললেও তারা ফিরে আসেননি। আমি শুধু নেতা-কর্মীদের অভিভাবক হিসেবে বৈঠকে যোগ দিয়েছি। আমার কোনো ভূমিকা ছিল না। এদিকে দলীয় নেতাকর্মীদের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, এক সময় সভাপতি রব্বানী ও মামুন এমপি ফারুক চৌধুরী অত্যন্ত বিশ্বস্ত এবং এলাকার সকল স্বার্থ একচেটিয়াভাবে দেখাশোনা করতেন। তবে গত সংসদ নির্বাচনের পর এমপিকে নিয়ে রাব্বানী ও মামুনের মধ্যে চরম শত্রুতা শুরু হয়। এর আগেও দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবারের বর্ধিত সভা থেকে রাব্বানী ও মামুনকে বহিষ্কার চলমান শত্রুতারই বহিঃপ্রকাশ।
উল্লেখ্য, রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এমপি ফারুক চৌধুরী ও তার সমার্থনকারীদের নিয়ে মঞ্চে প্রবেশকালে স্থানীয় এক জন হাইব্রিড নেতার উস্কানিমুলক ভঙ্গিমার কারনে ঘটনাস্থলে হাতাহাতির ঘটনার সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থল থেকে ঘটনার পর পরই সভাস্থল থেকে ক্ষুদ্ধ হয়ে বেড়িয়ে যান বলে জানা যায়। গত সংসদ নির্বাচনে এমপিকে নিয়ে স্থানীয় নেতাদের ভিতরে বিরোধ চলেছিল। এর আগেও দুই পক্ষ্যের ভিতরে সংকটের সৃষ্টি হয়েছিলো, এমনটাই জানা যায় স্থানীয় নেতাদের বর্ননামতে।