আগুন লাগার পরপরই সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোর ( BM Container Depot Sitakunda ) কম্পিউটার অপারেটর মমিনুল তার চাচাতো ভাই ফরহাদকে ( Farhad ) ফোন করেন। সে তার ভাইকে চিৎকার করছিল, ‘আমাকে বাঁচাও, আমাকে বাঁচাও, আমার গায়ে আগুন’।
কিছুক্ষণ পর সেই ফোনের আওয়াজ থেমে গেল। পরে মুমিনুলের শরীর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মমিনুলের চাচাতো ভাই ফরহাদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে নি\’হত আঠারজনের একজন মমিনুল। বাকিদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
মমিনুলের ভাই ফরহাদ জানান, মমিন মাত্র ছয় মাস আগে কন্টেইনার ডিপোতে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি নেন। এই চাকরির পাশাপাশি সংসারে সচ্ছলতা আনতে মাস্টার্স পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন মুমিনুল। কিন্তু আগুন সব শেষ করে দিল।
ফরহাদ জানান, আগুন লাগার পরপরই মমিনুল তাকে ফোন করেন। এবার সে চিৎকার করে উঠল, “ভাই, আমাকে বাঁচাও!” আমাকে বাঁচাও আমার সারা শরীরে আগুন। চারদিকে আগুন। আমাকে বাঁচাও কিছুক্ষণ পর মুমিনুলের কণ্ঠ থেমে গেল।
ফরহাদ বলেন, আমি মুমিনুলকে ( Muminulke ) বাঁচাতে পারিনি। সে আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। আমাদের পরিবারের স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে।
মমিনুলের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী ( Banshkhali Chittagong ) উপজেলার ছনুয়া গ্রামে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে মুমিনুল ছিলেন সবার বড়। পড়াশুনা করে সংসারের স্বার্থে এই ডিপোতে চাকরি নেন মুমিনুল। শনিবার ( Saturday ) গভীর রাতে ( night ) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ( Chittagong Medical College ) সামনে মুমিনুলের স্বজনদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।
এর আগে, শনিবার ( Saturday ) বেলা ১১টার ( ১১টার ) দিকে আগুন লাগার পর ঘটনাস্থলে যায় দমকল কর্মীরা। আগুন থেকে বড়সড় বিস্ফোরণ ঘটে।