আওয়ামী লীগের ( Awami League ) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ( Hanif ) বলেছেন, সরকারকে হারানো ক্ষমতা বিএনপির নেই। তিনি বলেন, ৭৫-এর হাতিয়ার গর্জন করার স্বপ্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ( Sheikh Hasina ) যে গুপ্তপ্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল বিএনপি। ( BNP. ) আর এই বক্তব্যের জন্য তাদের ক্ষমা না চাইলে দেশের মানুষ তাদের প্রতিরোধ করবে। শনিবার ( Saturday ) হবিগঞ্জ জালাল স্টেডিয়ামে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ( Awami League ) ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুব-উল-আলম হানিফ ( Hanif ) বলেছেন, ৭৫-এর হাতিয়ার, আবার গর্জন উঠুক’ স্লোগানের জন্য মির্জা ফখরুলের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। তিনি বলেন, বিএনপি এই স্লোগান দিয়ে স্বীকার করেছে যে ৭৫-এর হ// ত্যাকাণ্ড তাদের মাধ্যমেই হয়েছে। মির্জা ফখরুলকে ( Mirza Fakhrul ) জাতির কাছে ক্ষমতা চাইতে হবে। আর ক্ষমা না চাইলে জনগণকে নিয়ে রাজপথে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। হানিফ ( Hanif ) বলেন, দেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। একটি অংশ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছে, অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত। বিরোধী দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।এরা একই মায়ের দুই সন্তান।এটা বিএনপি নেতাদের মুখের কথা।
তিনি বলেন, বাস্তবে জামায়াত পাকিস্তানের মওদুদীর দ্বারা এবং বিএনপি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার দ্বারা তৈরি। ৭১-এর পরাজিত শক্তি ৭৫ সালে জাতির পিতাকে প্রয়াত করে। এই হ// ত্যাকাণ্ডে যারা দৃশ্যমান ছিল তাদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। কিন্তু পর্দার আড়ালে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের হ// ত্যাকারী জিয়াউর রহমান। তিনি শুধু ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে ন্যায়বিচারের পথ রুদ্ধ করেননি, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেন। জামায়াত ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের এদেশে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় জিয়াউর রহমান জাতির পিতার খুনি। বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে জনগণই ক্ষমতার সিদ্ধান্ত নেবে। আর জনগণ যদি আপনাকে প্রতিরোধ করে তাহলে দেশের উন্নয়ন কাজে বাধা দেওয়ার অধিকার আপনার নেই। উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা হলে আমাদের শিক্ষা দেওয়া উচিত। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনতে চাইলে আদালতে আপিল করতে পারে।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ মোতালিবের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। আবু জাহির এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মুশফিকুর হোসেন চৌধুরী, আজিজুস সামাদ ডন ও হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহনেওয়াজ মিলাদ গাজী। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে আবদুল মোতালিবকে সভাপতি ও আবদুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, মানবতার কথা মানছেন না বিএনপি নেতারা। ১৯৭৫ সালে জিয়াউর রহমান ঘাতকদের পৃষ্ঠপোষকতা এবং জাতীয়ভাবে পুরস্কৃত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে প্রাণনাশ করেন। এ সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেও প্রয়াত করা হয়। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছে। এখন আওয়ামী লীগের সহায়তায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে বিদেশি বন্ধুরা বিস্মিত। তারা রহস্য জানতে চাইলে আমরা বলি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নের জাদু, তার বক্তব্যের সাথে এমনটাই যোগ করেন তিনি।