বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ( government ) ( Awami League government ) বিরুদ্ধে ভোট চুরিসহ নানা অভিযোগ এনে এ সরকারের ( government ) অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। ( BNP. ) আর এরই ধারাবাহিকতায় দলের নির্দেশ না মেনে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় রীতিমতো বিএনপি থেকে বহিষ্ককার হয়েছেন অনেকেই।
আর এদিকে এবার বিদায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি ( EC )) কে এম নুরুল হুদা ( KM Nurul Huda ) বলেছেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি না থাকলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।
শনিবার এফডিসিতে ( FDC ) ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন সম্ভব’ শীর্ষক ছায়া আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
নুরুল হুদা তার বক্তব্যে বলেন: রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। বর্তমান সরকার নির্বাচন কমিশনকে (ইসি ( EC )) শক্তিশালী করতে নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন আইনসহ বেশ কিছু আইন প্রণয়ন করেছে।
সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হলে বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগ না করে দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে এসময় তিনি বলেন: দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে, পদত্যাগ কাপুরুষের কাজ বরং দায়িত্বে থেকে দায়িত্ব পালন করা উচিৎ। বন্দুকের নল এবং লাঠি উচিয়ে এদেশে ভোট হয়, এই কালচার থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
বিশ্বের কোথাও নির্বাচনের সময় ১২টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ভোট করার নিয়ম নেই। এসব বন্ধ হলে গণতন্ত্র রক্ষা হবে বলে মন্তব্য করেন সাবেক এই প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
তবে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে সরকারকে। এবারের নির্বাচনে কেউ দুর্নীতি-অনিয়মের করার সুযোগ পাবে না বলে দাবি করে বিএনপিকে এ নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে সরকার।