বাংলাদেশের ( Bangladesh ) রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আলোচনা্র মাধ্যমে কোন রাজনৈতিক বিষয়ে সমাধান সম্ভব নয়। কারন বাংলাদেশের ( Bangladesh ) স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে কিন্তু ফলাফল হয়েছিল শূন্য। প্রকৃত বিষয় হচ্ছে আন্দোলন ছাড়া রাজনৈতিক জয় সম্ভব নয় আগেও হয়নি বর্তমানে হবে না। এবার রাজনৈতিক আলোচনা সম্পর্কে যা বললেন পিনার্ক ভট্টাচার্য।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে কোন নেগোসিয়েশন সফল হতে দেখেছেন? কখনো হয়নি। সেই ১৯৭১ সালের ইয়াহিয়া মুজিব বৈঠক থেকে। আপনি যদি ইতিহাসের আগ্রহী পাঠক হন এবং পাকিস্তানি বা বাংলাদেশী ভাষ্যকারদের লেখা পড়েন তাহলে দেখতে পাবেন যে মুজিবের সাথে আলোচনার জন্য পাকিস্তানিদের পক্ষ থেকে মরিয়া চেষ্টা করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ অন্ধ এবং গান্ধা ব্র্যান্ড হলে সেই প্রচেষ্টা আপনার চোখে পড়বে না।
তবে আমার মতে, আমার মতে এইটা শেখ মুজিবের তরফেই নেগোসিয়েশন ফেইলিউর। কেন মুজিব ইয়াহিয়া সভা ব্যর্থ করলেন তার কোনো ব্যাখ্যা আওয়ামী লীগের কাছে নেই। আওয়ামী লীগ বলার চেষ্টা করে ইয়াহিয়া মুজিব বৈঠক ছিলো আই ওয়াশ। একেবারেই তা না। পাকিস্তানিদের কেন আই ওয়াশ করতে হবে যখন তারা যখন খুশি সামরিক হস্তক্ষেপ করতে পারে। সেনাবাহিনীর সংখ্যা কম হলে সে ইন্টারভেনশনের ডেট পিছাবে।
পরে দেখা দেখেন। ওয়ান-ইলেভেনের আগে জলিল ও মান্নান ভূঁইয়ার সাক্ষাতের কথা মনে আছে। সফল হয়নি। তারানকো একবার এসেছিলেন স্যার নিনিয়ান এসেছিলেন আলোচনা কখনোই সফল হয়নি।
এইটা অস্বাভাবিক বলে মনে হয় না? আলোচনার টেবিলে ভারত ও পাকিস্তান স্বাধীন হয়। নেগোসিয়েশনের টেবিলেই আমরা নিজেদের রাষ্ট্র পাইলাম সেই রাষ্ট্রে নেগোশিয়াশনের বেইল কেন নাই?।
আমি একটা ক্লু দেই। ১৯৪৭ সালের আলোচনার অংশ ছিল ব্রিটিশ, জিন্নাহ, নেহেরু, গান্ধী। উচ্চ শিক্ষিত রাজনীতিবিদ।
এই ক্লু দিয়া নিশ্চয়ই বুঝতে পারতেছেন যে কেন আর কোন নেগোশিয়েশন সফল হয়না।
প্রসঙ্গত, আলোচনার মাধ্যমে কোন রাজনৈতিক সমাধান সম্ভব নয়। কারন আলোচনাটা আসলে লোক দেখানো্ মাত্র। আন্দোলন সংগ্রাম ছাড়া কোন রাজনৈতিক ইস্যুর সমাধান সম্ভব নয়।