অবশেষে সব জটিলতা কাটিয়ে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া শ্রমিক প্রবেশের সুখবর এসেছে। যার ফলে মালয়েশিয়ায় আবারও অনেক লোকের কর্মসংস্থান হবে। বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়া রোগের কারনে প্রচুর মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। আর বর্তমানে প্রবাসী বাংলাদেশীরা দেশে প্রচুর পরিমান রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে যার জন্য দেশের অর্থনীতি মহা/মারিতেও ভেঙ্গে পড়েনি।
বাংলাদেশের জন্য সুখবর দিলেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম ( Datuk Serie M ) সারাভানান। চলতি মাসে বাংলাদেশি ( Bangladeshi ) শ্রমিকরা মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবে বলে আভাস দিয়েছেন সফররত ( Visiting ) মন্ত্রী। তবে তিনি বলেন, বাংলাদেশি ( Bangladeshi ) শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় পাঠাতে হলে নির্দিষ্ট ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সি ও ২৫০ জন সাব-এজেন্টের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় আসতে
বৃহস্পতিবার (২শে জুন) দুই দেশের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান। ঢাকায় বৈঠকে মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন তিনি।
এর আগে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।তে বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য মালয়েশিয়ার দুয়ার উন্মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখেছিল সরকার। কিন্তু এক মাস পর বাংলাদেশকে জানানো হয় যে, এই শ্রমিকদের ২৫টি নির্বাচিত রিক্রুটিং এজেন্সি এবং ২৫০ জন সাব-এজেন্টের মাধ্যমে আসতে হবে। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে চিঠির জবাব দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী মো. বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা আইন ও আইএলও কনভেনশনে এই শর্ত গ্রহণযোগ্য নয় বলে তিনি স্পষ্ট করে দেন।
এর পরই জনশক্তি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ (বায়রা) সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মহাজোট গঠন করে প্রতিবাদ জানায়। তারা মালয়েশিয়ার এজেন্টদের নিয়োগকে একটি সিন্ডিকেট বলে অভিহিত করে এবং সকল নিয়োগকারী সংস্থার জন্য শ্রমবাজার উন্মুক্ত করার দাবি জানায়।
এতে বেঁকে বসেছে মালয়েশিয়া। আজকের মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান বৈঠকে উপস্থিত থাকার শর্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মালয়েশিয়ার মিডিয়া আউটলেট মালয়েশিয়াকিনি জানিয়েছে যে তার সফরের সময় কোনো প্রতিবাদ হলে রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা আরও কমানো হবে।
সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, শ্রমিকদের খরচের মধ্যে পাসপোর্ট, চিকিৎসা, কল্যাণ বোর্ডের সদস্য ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অন্যদিকে, বিমান ভাড়াসহ মালয়েশিয়ার অংশের যাবতীয় খরচ নিয়োগকর্তা বহন করবেন।
প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়া প্রবেশের জন্য সুখবর দিলেন সে দেশের মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান। তবে প্রবেশের ক্ষেতে তিনি কিছু শর্ত দিয়েছেন। এই শর্তগুলো মেনেই মালয়েশিয়ায় যেতে হবে বলে তিনি জানান।