৪ দিনের ভেতর দুই দু’বার খারাপ কাজের শিকার হয়েছেন মাইমুনা ( Maimuna ) ইয়াসমিন নামের এক কিশোরী। মায়মুনার বাবা থানায় মামলা দায়ের করার সময় অভিযোগপত্রে এমন ধরনের অভিযোগ তুলে ধরেছেন। ঘটনা সম্পর্কে জানা যায়, তার খারাপ কাজের বিচার পাওয়ার আগেই মাইমুনা ( Maimuna ) আত্মহননের পথ বেছে নেয়। গেল মঙ্গলবার রাতের ( Tuesday night ) দিকে মাইমুনা ( Maimuna ) ইয়াসমিনের ঝুলন্ত নিথর দেহ পাওয়ার পর তা উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে ইয়াসমিনকে হ/’ ত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ইয়াসমিন সাতক্ষীরা শহরের দক্ষিণ কাটিয়া ঈদগাহ এলাকার আজিজুর রহমানের মেয়ে। সে শহরের নবারুণ গার্লস স্কুল থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া এলাকায় মেয়েটির চাচা মুনসুর আলীর বাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়।
কাটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, গত ৩ মে সাতক্ষীরা শহরতলীর ইটাগাছার বনলতা হাউজিং কমপ্লেক্স এলাকায় সহপাঠীর বাড়িতে তাকে খারাপ কাজ করে পূর্ব পরিচিত হৃদয় হোসেন। পরে গত ৮ মে সন্ধ্যায় পাশের এক নারীর সহায়তায় ইয়াসমিনকে আবারও খারাপ কাজ করা হয় হৃদয়। হৃদয় (২১) জেলার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের খলিসাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় ইয়াসমিনের বাবা বাদী হয়ে হৃদয় ও দুই নারীকে আসামি করে মামলা করেন। অভিযুক্ত দুই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। ভিক’টিমের জবানবন্দি ও ডাক্তারি পরী”ক্ষা করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. গোলাম কবির জানান, মায়মুনা ইয়াসমিনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ম/’র্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃ”ত্যু মামলা করেছেন। তার ম”রদেহে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রয়ানের সঠিক কারণ জানা যাবে।
তবে ছেলেটির সাথে মাইমুনা ইয়াসমিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল কিনা সে বিষয়েও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তার সাথে খারাপ কাজ ঘটেছে, সেহেতু বিষয়টি ভিন্ন দিকে যেতে পারে বলে জানান থানা পুলিশ। এদিকে মাইমুনার ঘটনার বিষয় নিয়ে সুবিচার পাওয়ার জন্য আশার কথা জানালেন গণমাধ্যম এর সাথে কথা বলতে গিয়ে।