বাংলাদেশি ( Bangladeshi ) বাবা এবং জাপানি মায়ের মধ্যে তাদের দুই সন্তান নিয়ে দ্বন্দ্বের ঘটনাটি দেশজুড়ে মানুষের মাঝে একটি আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বাংলাদেশি ( Bangladeshi ) নাগরিক ইমরান শরীফের ( Imran Sharif ) এর বিরুদ্ধে নাকানো এরিকো নামের ওই নারী আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে মাননীয় আদালত।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ আবেদনটি খারিজ করে দেন। এর আগে গত ১৬ মে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে বাংলাদেশি নাগরিক ইমরান শরীফের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করেন জাপানি দুই সন্তানের জননী নাকানো এরিকো। আদালত শুনানির জন্য ২৩ মে দিন ধার্য করেন।
আদালতে আপিলের শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
আইনজীবী শিশির মনির গণমাধ্যমকে বলেন, আপিল বিভাগ তাদের দুই সন্তানকে মায়ের সঙ্গে বারিধারায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সন্তানদের বাবা তাদের সাথে দেখা করতে পারবেন। এ নির্দেশনা অমান্য করে ইমরান শরীফ জোরপূর্বক তার সেই দুই কন্যাদের নিয়ে মাঝে মাঝেই বের হন। এ কারণে আমরা আদালত অবমাননার আবেদন করেছি।
১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা পারিবারিক আদালতে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দুই কন্যা সন্তান জেসমিন মালিকা ও লায়লা লিনাকে মা নাকানো এরিকোর কাছেই থাকতে হবে বলে রায় দেন আপিল বিভাগ। .
এই মুহুর্তে নাকানো এরিকো সন্তানদের নিয়ে দেশ ছেড়ে যেতে পারবেন না। রায়ে বলা হয়, বাবা ইমরান শরীফ সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের আদেশ খারিজ করে দেন। একই সঙ্গে ঢাকার দ্বিতীয় দায়রা জজ আদালতকে দুই কন্যা সন্তানের জিম্মাসংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তি করতে বলেন আদালত।
জেসমিন মালেকা ও লায়লা লিনা নামের দুই সন্তানকে হেফাজতে নেওয়ার হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর জাপানি মা নাকানো এরিকো আপিল বিভাগে আবেদন করেন। গত ২১ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন, জেসমিন মালেকা ও লায়লা লিনা নামের দুই সন্তান তাদের বাবা ইমরান শরিফের সঙ্গে বাংলাদেশে থাকবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশী নাগরিক ইমরান শরীফ এবং জাপানি নারী নাকানো এরিকোর মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তাদের ঘরে তিন সন্তান জন্ম লাভ করেন। এরপর তাদের মাঝে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হলে ইমরান শরীফ বড় দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। এরপর সন্তানকে নিতে বাংলাদেশে জাপানি ঐ মা আসলে তখন পরস্পর দায়ের করা মামলা এখনো চলমান রয়েছে।