কোলকাতার সিনেমার এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রীর নাম সায়ন্তিকা। বেশ কিছু সিনেমায় কাজ করে তিনি পেয়েছেন বেশ জনপ্রিয়তা। ২০০৮ সালে নৃত্যবিষয়ক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। এরপর ২০০৯ সালে নাম লেখান সিনেমায়। এ পর্যন্ত বেশ কিছু সফল সিনেমায় দেখা গেছে তাকে। জুটি বেঁধেছেন টালিউডের প্রথম সারির নায়কদের সঙ্গে।
অভিনয়ের পাশাপাশি সায়ন্তিকা নাম লেখান রাজনীতিতেও। চলতি বছর অনুষ্ঠিত হওয়া পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত হেরে যান এ নায়িকা।
তবে ভোটে হেরে গেলেও জনসেবার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সায়ন্তিকা। তাই বোঝার বাকি নেই, রাজনীতিকে সিরিয়াসলি নিয়েছেন তিনি। ভবিষ্যতেও হয়ত রাজপথে থাকবেন, লড়বেন নির্বাচনেও।
তারকা হলেও সায়ন্তিকার সম্পদের যে হিসাব প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে অবাকই হতে হয়! কারণ তার নিজের নামে কোনো বাড়ি বা জমি নেই। উল্টো ঋণের সাগরে ডুবে আছেন তিনি। বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকে তার মোট ৮টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তবে অধিকাংশ ব্যাংক থেকেই তিনি ঋণ নিয়েছেন।
জানা গেছে, সায়ন্তিকা একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ কিনেছিলেন। যেটার দাম ৪৩ লাখ ৫৬ হাজার রুপি। ওই অর্থ তিনি ব্যাংকলোনের মাধ্যমে যোগাড় করেছেন। এইচডিএফসি ব্যাংকে তার ১৯ লাখ ৯১ হাজার রুপির কারলোন রয়েছে। এছাড়া আইসিআইসিআই ব্যাংকে ১৪ হাজার ৯৭ রুপির ব্যক্তিগত ঋণ রয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, এইচডিএফসি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে ৪ লাখ ৫৪ হাজার রুপি এবং অ্যাক্সিস ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে ১ লাখ ৪৩ হাজার রুপির দায়ে আছেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গের একটি গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে, সায়ন্তিকার কাছে ১ লাখ ২৩ হাজার রুপি মূল্যের সোনার গয়না আছে। তবে তার নামে কোনো বাড়ি বা জমি নেই। তার বর্তমান নগদ অর্থের পরিমাণও অর্ধ লাখের কম! যদিও অনেকের ধারণা, এসব তথ্য নির্বাচনের জন্যই দিয়েছিলেন সায়ন্তিকা। আদতে তিনি বিপুল সম্পদের মালিক।
একটা সময়ে সিনেমায় কাজ করে গেলেও এখন আর আগের মত ডাক পাননা সিনেমাতে। অনেকটাই সংকুচিত হয়ে গেছে তার সিনেমার ক্যারিয়ার। যার ফলে তিনি এখন রাজনিতীতেই বেশি ঝুকেছেন।