নেত্রকোনার বারহাট্টা ( Barhatta )য় ( Barhatta Netrokona ) ডায়রিতে স্বামীর নির্যাতনের বিবরণ লিখে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন সুমা ( Suma ) আক্তার (২৪) নামে ( May ) এক গৃহবধূ। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন সুমা ( Suma )র স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। রোববার (২৯ মে ( May )) রাতে ( night ) ময়মনসিংহ মে ( May )ডিকেল কলেজ হাসপাতালে ( Mymensingh Medical College Hospital ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি প্রয়াত হন। সোমবার সন্ধ্যায় ( Monday evening ) সুমা ( Suma )র বাবার বাড়িতেই তার দাফন সম্পন্ন হয়।
গৃহবধূ সুমা ( Suma ) আক্তার তার স্বামীর নির্যাতন, যৌতুকের জন্য নির্যাতন, স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের ঘটনাসহ শাশুড়ির নির্যাতনের বিষয়ে ২২ পৃষ্ঠার এক নির্যাতনের বিবরনী ডায়েরিতে লিখেছেন। সুমা ( Suma ) আক্তার বারহাট্টা ( Barhatta ) সিকেপি পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় অফিসে আ. লতিফের ( . Latif’ ) মে ( May )য়ে সুমা ( Suma )র বিয়ে হয় ৪-৫ বছর আগে বারহাট্টা ( Barhatta ) সদর ইউনিয়নের রসুলপুর ( Rasulpur ) গ্রামে ( May )র সাইদুর রহমানের ( Saidur Rahman ) সঙ্গে। তাদের ৩ ও ২ বছর বয়সী দুই ছেলে রয়েছে। গৃহবধূ সুমা ( Suma )র বাবা জানান, রোববার সকালে সুমা ( Suma ) বাড়িতে আসেন।তখন তার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। রাস্তার কোথাও থেকে হয়তো সে বিষ খেয়ে বাড়িতে এসেছে। তিনি আরও বলেন, সাইদুর রহমান প্রয়ানের খবর শুনে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। আর শ্বশুর আবদুর রহমান চলে যান নেত্রকোনা। সুমার শরীরে লোহার রড দিয়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। বিয়ের পর থেকে যৌতুকসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী কর্তৃক সুমাকে নির্যাতন ও বেদম প্রহার করা হয়।
উল্লেখ্য, বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল হক আত্মহননের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ময়মনসিংহ মেডিকেলে প্রয়াত যাওয়ায় মমেক কতোয়ালি থানা পুলিশ গৃহবধূ সুমার ময়নাতদন্ত করিয়েছে। সুমা আক্তার বারহাট্টার সিকেপি পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দপ্তরি আ. লতিফের মেয়ে। তাদের বাড়ি শহরের পুরাতন কোর্ট ভবনের পেছনে। সুমা ২০১৮ সালে বারহাট্টা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ৪-৫ বছর আগে সুমার বিয়ে হয় বারহাট্টা সদর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে।