Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌসের জন্য ৪০ জন প্রার্থী গায়ে কাফন

সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌসের জন্য ৪০ জন প্রার্থী গায়ে কাফন

ক্ষমতাসীন এক নারির কারণে সুষ্ঠুভাবে তারা নির্বাচনের প্রচারণা করতে পারছে না বলে ইসি’র ভবনের সামনে এসে বিক্ষোভ শুরু করেছে দুই ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। তাদের দাবি তারা প্রচারণা চালাতে গেলে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে তাদের বাধা প্রদান করা হচ্ছে।

নিরবচ্ছিন্ন নির্বাচনী প্রচারণা ও সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে গতকাল সকালে ( Yesterday morning ) থেকেই দুই ইউনিয়নের ৪০ জন প্রার্থী হাতে কাফন ও বি/ ষের বোতল নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা হলেন নোয়াখালীর ১নং হারনী ( deer ) ইউনিয়ন ও ২নং চানান্দী ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র সভাপতি ও প্রার্থী সদস্যরা। এই দুটি পিইউতে ১৫ জুন ( June ) ভোট নেওয়া হবে।

তাদের দাবি, স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌসের ( Ayesha Ferdous ) স্বামী মোহাম্মদ আলীর ( Mohammad Ali ) লোকজনের নি/ পীড়নের কারণে প্রচারণা চালাতে পারছেন না। তারা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি। এ কারণে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশের দাবিতে তারা নির্বাচন কমিশনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, নির্বাচন হবে ১৫ জুন। কিন্তু তার আগেই হাতিয়ার হারনী ১নং ও চানান্দী ইউনিয়ন পরিষদের ১নং নবগঠিত নির্বাচন প্রার্থীদের উপর হামলাসহ থমকে গেছে।
হারনী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র সভাপতি প্রার্থী মুশফিকুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, প্রাণনাশের হুমকিসহ বিভিন্ন হুমকির মধ্যেও প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে হচ্ছে।

মেঘনা নদীর দুই সংযোগস্থল এবং রামগতি ও সুবর্ণচর উপজেলার সীমানায় সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বেড়েছে। ১নং হারনী ইউনিয়ন ও ২নং চান্দী ইউনিয়নে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রতিটি কেন্দ্রে প্রশাসনিক কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে সভাপতি, সহ-সভাপতি ও সদস্য নির্বাচনের জন্য হাতিয়া উপজেলার বাইরে থেকে প্রশাসনিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকবল নিয়োগ করতে হবে। অন্যথায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সংসদ সদস্যের স্বামী তার সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী কাজে বাধা দিচ্ছেন, এমনকি প্রার্থীদের ওপর হামলাও করছেন।

বর্তমানে সব প্রার্থীর কাজ বন্ধ রয়েছে। তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে অফিসার ইনচার্জ (ওসি), অফিসার উপজেলা নির্বাহী ও সার্কেল এসপিকে অপসারণসহ সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান। এ ছাড়া সব ভোটকেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র‌্যাব, বিজিবি ও পুলিশ কর্মকর্তা মোতায়েন করার দাবি জানান তারা।

এদিকে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সেখান থেকে বের করে দেন। এ সময় উৎপল বড়ুয়া গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা আপনাদের কথা শুনব। এখানে এভাবে বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই। এটি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। আপনার দাবি নিয়ে প্রেসক্লাবে যান, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে মেমো পৌঁছে দিন। এভাবে বসার সুযোগ নেই, তাই তাদের ছেড়ে দিলাম। এরপরও যদি তারা আমাদের কথা না শোনে, দেখা করতে চায়, আমরা কঠোর হতে বাধ্য হব।
এরপর নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীরের সঙ্গে দেখা করেন আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দল। আলোচনা শেষে তারা সাংবাদিকদের বলেন, মামলা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সারাদেশে চলছে বহুল আলোচনা-সমালোচনা। অন্যদিকে আগামী নির্বাচনে ইভিএম এর ব্যবহার নিয়ে চলছে নানা ধরনের বিতর্ক। অনেক রাজনীতিবিদ ও দলীয় নেতারা দাবি করছে ইভিএম দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। পূর্ব পন্থা অবলম্বন করতে হবে।

About Nasimul Islam

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *