Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপির অবস্থা কেমন হবে জানালেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম

নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপির অবস্থা কেমন হবে জানালেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম

বিএনপি বলছে, দলীয় সরকারের ( government ) অধীনে কোনো নির্বাচনে তারা যাবে না। সম্প্রতি মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ ( Mirza Fakhrul ) বিএনপির ( BNP ) শীর্ষ নেতারা তাদের বক্তব্যে নির্বাচন ও ইভিএম নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ( Sheikh Fazlul Karim Selim ) বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে তাদের অবস্থা ন্যাপের মতো হবে। নির্বাচনের বাইরে কোনো অবৈধ শক্তি ক্ষমতা নিতে পারবে না। আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে।

সোমবার ৩০ মে ( May ) বিকেলে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশের ( Panchlaish Chittagong ) কিং অব চিটাগাং কমিউনিটি ( King Chittagong Community ) সেন্টারে মহানগর আওয়ামী যুবলীগের ( Mahanagar Awami Juba League ) ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য গণতন্ত্রের মতো ভারত ( India ), লন্ডন ( London ), অস্ট্রেলিয়া ( Australia ), যুক্তরাষ্ট্র ( United States ) ও কানাডায় ( Canada ) যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও ( Bangladesh ) সেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৩ সালে দেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধানের বাইরে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। ইয়াজউদ্দিনের মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। ‘

মহানগর যুবলীগের সভাপতি মহিউদ্দিন বাচ্চুর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকা ও ফরিদ মাহমুদের সঞ্চালনায় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি বলেন, প্রতিটি দলের অংশগ্রহণে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি আসলে নির্বাচনে আসবে, নাকি আসবে না। নির্বাচনে না গেলে তাদের অবস্থা হবে ন্যাপের মতো। নির্বাচিত না হলে দল কোথায় হারিয়ে যায় তার বর্তমান উদাহরণ ন্যাপ। বিএনপিকে টিকে থাকতে হলে নির্বাচন করতে হবে।

শেখ সেলিম বলেন, বিএনপি যত বেশি সরকার পতনের কথা বলবে, সরকারের মেয়াদ তত দীর্ঘ হবে। তারা ২০১৩ সাল থেকে সরকার পতনের কথা বলে আসছে। ক্যান্টনমেন্টে বিএনপি তৈরি হয়েছিল। সেনানিবাসে সৃষ্ট রাজনৈতিক দল কখনো গণতান্ত্রিক হতে পারে না।

প্রধান অতিথি বলেন, শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন ততদিন জনগণের কষ্ট হবে না। শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশ হবে না। দেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো নয়। বাংলাদেশে তেল-গ্যাসসহ পণ্যের দাম বেড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, পণ্যের দাম 60 শতাংশ বেড়েছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ক্রয়ক্ষমতা জনগণের নাগালের মধ্যে রাখার চেষ্টা করছেন। ইউরোপ বা আমেরিকার চেয়ে বাংলাদেশ ভালো। শেখ হাসিনা বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ হবে সিঙ্গাপুরের মতো। আওয়ামী লীগ সরকার ২০৪০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে।

সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। তারা নিজেদের স্বার্থে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। আজকের উন্নয়ন দৈবক্রমে ঘটেনি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন সরকার গঠিত হয়, তখন এদেশে মাথাপিছু আয় দেখুন।

“এখন দুই হাজার ৮০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। দেশের উন্নয়নে আমরা জনগণের সঙ্গে কাজ করেছি। জনগণ আওয়ামী লীগকে সুযোগ দিয়েছে। আওয়ামী লীগ টানা তিনবার সরকার গঠন করেছে। তারপরও মানুষ আওয়ামী লীগকেই চায়।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, চট্টগ্রামের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ঐক্য নেই। নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলায় বিএনপি জামাত যে সহিংসতা চালিয়েছিল, তাতে ঐক্যবদ্ধ থাকলে চট্টগ্রামের নেতাদের প্রতিহত করার জন্য এই নেতৃত্বই যথেষ্ট হতো।

“নেতাদের মধ্যে ঐক্য না থাকলে কর্মীদের মধ্যে ঐক্যের কোনো সুযোগ নেই। ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। ঐক্য না থাকলে বিএনপি-জামায়াত নতুন করে ষড়যন্ত্রের সুযোগ পাবে।’

আ জ ম নাছির ও নওফেলের মধ্যে মতবিরোধের বিষয়ে নওফেলের ভাই নাসির ঐক্যের ডাক দেন। আমি কষ্ট পাই, আমার চেয়ারম্যান ও নেতারা কষ্ট পান, জানেন কি? আমরা কি শেখ হাসিনার সৈনিক? আমি কি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ গ্রহণ করেছি? তাহলে নাসির ভাই, নওফেল ভাই, আপনি কার আদর্শ ধারণ করবেন? তারা যদি শেখ হাসিনার সৈনিক হয়ে থাকে, তাহলে তাদের নাম বলার সময় তাদের স্লোগান আলাদা কেন? ঐক্যের ডাক কি? এটা ঐক্যের ডাক হতে পারে না।

উদ্বোধনী বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, বর্তমান সরকারের নীলনকশা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ সরকারের প্রতি আস্থা হারাবে এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে।

আর এই নীলনকশা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন এগারোজন দক্ষ ব্যক্তি। সুশীল সমাজের একটি অংশ এখনও জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবদের মাঠে নামানোর পরিকল্পিত চেষ্টা চলছে।

আরও উল্লেখযোগ্যভাবে, কিছু ব্যক্তি জাতীয় সরকারের উপস্থিতির তত্ত্ব সম্পর্কে সোচ্চার হয়েছেন। যারা বিভিন্নভাবে এগারোর সঙ্গে যুক্ত এবং অনির্বাচিত সরকারের সুবিধাভোগী। তাদের মূল স্বার্থ বাংলাদেশের উন্নয়ন নয়, এ দেশের বাজার। তারা গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকারের কথা বলে। কিন্তু বাস্তবে তারা এই বিরোধী শক্তির সাথে গোপন মিত্রতা গড়ে তোলে।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, চট্টগ্রামে সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ। সম্মেলন শুধু নতুন নেতা নির্বাচনই করবে না, যুবলীগের রাজনীতিতে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।

উল্লেখ্য, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এক সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে সরকার প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে। ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, অতীতের মতোই এ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনেও বিএনপি অংশ নেবে। অন্যদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, এই সরকার ক্ষমতায় থাকা কালে কোন ভাবেই নির্বচনে অংশ গ্রহন করবে না বিএনপি।

About Nasimul Islam

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *