Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / পঞ্চম শ্রেনীতে পড়া ছাত্রীর সাথে পূত্রের বিয়ে দিলেন শিক্ষিকা, জানালেন কারন

পঞ্চম শ্রেনীতে পড়া ছাত্রীর সাথে পূত্রের বিয়ে দিলেন শিক্ষিকা, জানালেন কারন

মানুষের জীবনে বিবাহ মানে একটা শুভ বিষয়। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবার একটি নির্দিষ্ট বয়স রয়েছে। অপরিণত বয়সে বিয়ে হলে স্বামী স্ত্রী উভয়কেই অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় পাত্র এবং পাত্রীকে। তাছাড়া অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে করা সমাজ পরিপন্থি একটা কাজ। এক্ষেত্রে বাবা মাকে সচেতন হতে হবে। এখনো অনেক জায়গায় বাল্যবিবাহ হয়ে থাকে যেটা আসলেই ঘোরতর একটা অপরাধ। সম্প্রতি এমনি একটি বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে চুয়াডাঙ্গা ( Chuadanga )তে।

চুয়াডাঙ্গা ( Chuadanga ) সদর উপজেলার বেগমপুর ( Begumpur ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে দশম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলের বাল্যবিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ( Past ) ২০ মার্চ ( March ) সদর উপজেলার তিতুদহ ( Titudah ) ইউনিয়নের ছোটশলুয়া গ্রামের বিলপাড়া ( Bilpara )য় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা ( Chuadanga ) সদর উপজেলার বিলপাড়া ( Bilpara ) গ্রামের আসোক আলীর ( Asok Ali ) মেয়ের সঙ্গে সহকারী শিক্ষিকা শামসুন্নাহার ( Teacher Shamsunnahar ) তার দশম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলের গত ( Past ) ২০ মার্চ ( March ) বিয়ে দেন। প্রথমে কয়েকদিন বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখা হলেও পরে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গেলে জানাজানি হয় এ ঘটনা।

বেগমপুর ( Begumpur ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সদ্যবিবাহিত ওই ছাত্রী মেহেদি ( Mehdi ) রাঙা হাতে ক্লাস করছেন। এ সময় বিয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ম্যাডামের ছেলের সঙ্গে এক সপ্তাহ আগে বিয়ে হয়েছে। এখন জামাই তাদের বাড়িতে রয়েছেন। আর তিনি বাড়িতে এসে স্কুলে ক্লাস করছেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শামসুন্নাহার ( Teacher Shamsunnahar ) তার ছেলের বাল্যবিয়ে দেওয়ার বিষয়ে জানান, আমার মায়ের শরীর খুব অসুস্থ। মায়ের ইচ্ছা নাতি ছেলের বউ দেখার। মূলত তার ইচ্ছা পূরণের জন্যই ছেলের বিয়ে দিয়েছি। তবে বর-কনের বয়স কম হওয়ায় বিয়ের কাবিন হয়নি। বেগমপুর ( Begumpur ) দাখিল মাদরাসার শিক্ষক ও বেগমপুর ( Begumpur ) ইউনিয়নের কাজি মফিজুল ইসলাম ( Kazi Mofizul Islam ) ধর্মীয়-রীতি মেনে বিয়ে দিয়েছেন।

বাল্যবিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে কাজি মফিজুল ইসলাম ( Kazi Mofizul Islam ) জানান, আমি কোন বাল্যবিয়ে পড়াই না। বর ও কনের সঠিক কাগজপত্র যাচাই করে বিয়ে পড়াই। আমার রেজিস্ট্রারে কোন বাল্যবিয়ে নেই। চুয়াডাঙ্গা ( Chuadanga ) সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীম ভুইয়া ( Shamim Bhuiyan ) জানান, এ খবরটি সম্পর্কে এখনো কিছু জানা নেই আমার। তবে সত্যতা পেলে তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে বেগমপুর ( Begumpur ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ ( Abdur Rashid ) বলেন, এ বিষয়ে এখনো কিছু জানি না। তবে একজন স্কুলশিক্ষিকা যদি এমনটা করে থাকেন তাহলে তা ঠিক হয়নি।

একজন শিক্ষিকা হয়ে কি করে তিনি এই বাল্য বিবাহ দিলেন এটা এখন সকলের নিকট প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। নিজের বা পরিবারের কারো ইচ্ছে পূরণ করার জন্যে আমাদের এমন কোনো কাজ করা উচিত না যেটা আসলে সমালোচনার সৃষ্টি করে। এটা একটা আইন বহির্ভূত কাজ করেছেন এই স্কুল শিক্ষিকা, এমনটি জানিয়েছেন ঐ এলাকার প্রবীনেরা।

About bisso Jit

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *