বাংলাদেশের ( Bangladesh ) স্বাধীনতার ঘোষণাকে কেন্দ্র করে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়ে থাকে। আওয়ামীলীগ দাবী করে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ( Rahman ) স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে অপরদিকে বিএনপির ( BNP ) দাবি জিয়াউর রহমান ( Rahman ) ( Ziaur Rahman ) দিয়েছেন। এ বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি ( Amir Hossain Amu MP ) দাবি করেন, জিয়াকে ( Zia ) ধরে নিয়ে এসে, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি পড়ানো হয়। বঙ্গবন্ধুর ( Bangabandhu ) নির্দেশে তিনি স্বাধীনতার ঘোষনা প্রদান করেছিলেন।
তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমান ( Rahman ) ২৫ মার্চ পর্যন্ত পাকিস্তান ( Pakistan ) সে/নাবাহিনীতে অ/’স্ত্র খালাসের দায়িত্ব পালন করেন। হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানান। শনিবার দুপুর ১২টায় ঝালকাঠি ( Jhalakathi ) জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকা ( Dhaka ) থেকে ভার্চুয়াুলি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এই প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো নানাভাবে ষড়”যন্ত্র করছে। দেশের বাইরেও তারা সরকারের ( government ) বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, তারা কখনই সফল হবে না। এসব ষড়য”ন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ঝালকাঠি ( Jhalakathi ) জেলা আওয়ামী লীগের ( District Awami League ) সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম ( Md. Shah Alam ) অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ( District Awami League ) সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির ( Advocate Khan Saifullah Panir ), পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার ( Liaquat Ali Talukder ), জেলা আওয়ামী লীগের ( District Awami League ) সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান ( Rahman ) ( Khan Arifur Rahman ), সহ-সভাপতি সালাহউদ্দিন আহমেদ সালেক ( Saladin Ahmed Salek ), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিবুল হক আকন্দ ( Mojibul Haque Akand ), উপজেলা আওয়ামী লীগের ( District Awami League ) সভাপতি আব্দুর রশিদ হাওলাদার ( Abdur Rashid Hawladar ), জেলা যুবলীগের ( Juba League ) আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির ( Rezaul Karim Zakir ), ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ ( Abdullah Al Masood ) মধু বক্তব্য রাখেন।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার ৫০ বছরও এই বিতর্কের অবসান না হওয়া জাতির জন্য লজ্জাকর বিষয়। জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন ঘোষণাকে নিয়ে এমন বিতর্ক প্রত্যাশা করে না দেশের সকল মানুষ। অসংখ্য বাঙ্গালীর আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজকের এই মহান স্বাধীনতা। বিশ্বের বুকে আমরা আজ গর্বিত জাতি হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেয়।